দোকানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে প্রথমে বেশ কিছুটা হকচকিয়ে যান দোকানদার। কিন্তু, দোকানে ঢুকে একনজর বুলিয়ে সেরা মিষ্টিগুলি কিনতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নলেন গুড়ের কালাকাঁদ, কালো মৌচাক, গুড়ের সন্দেশ, ক্ষীরের মোদক, কালোজাম সহ আরও অনেক মিষ্টি কেনেন। তাঁর মিষ্টির বিল হয় সবমিলিয়ে মোট ১৩ হাজার টাকা। পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মিষ্টি মুখ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণত যেখানে যান সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে কথা বলেন, তাঁদের কথা জানতে চান। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন দোকানের মালিক বিপ্লব দাম জানান, রাত ৮টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোকানে আসেন। তিনি সমস্ত খোঁজখবর নেন। দোকানে কোথায় মিষ্টি তৈরি হয়, কতজন কাজ করেন খুঁটিনাটি জানতে চান। শুধু তাই নয়, ওই মিষ্টি দোকানের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখে মুগ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দোকানে গুরুদেবের ছবি দেখে ভোগ অর্পণ করেছিলেন। এরপর সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য তিনি ১৩ হাজার টাকার মিষ্টি কিনেছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে এক সভায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক শীতে প্রায়ই তাঁকে জয়নগরের মোয়া পাঠান। কিন্তু, মোটা হয়ে যাবেন সেই ভয়ে তিনি তা খান না। সকলকে দিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও জনসংযোগের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলা, তাঁদের থেকে সরাসরি সমস্যার কথা জানতে চাওয়ার ঘটনা নেহাত বিরল নয়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ঝলক পাওয়ার জন্য সার্কিট হাউসের সামনে অনেকেই ভিড় করতে শুরু করে। পুলিশ লাইন মোড়ে এক শিশুকে কোলে নেন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে আদরও করেন। পাশাপাশি বালুরঘাট সফরে বিশেষ প্রাপ্তি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্য একটি হাতে আঁকা ছবি উপহার দিয়েছিলেন এক স্কুলছাত্রী। এই বিশেষ উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি ওই স্কুল পড়ুয়াকে চকোলেট দেন। পাশাপাশি তিনি উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, সিবিএসসি সহ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা সফর করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করছেন তিনি। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট ছাড়াই যে লড়বে তৃণমূল, বর্ধমান যাওয়ার পথে এমনটাই ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।