জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই সময় এক পক্ষ অপর পক্ষকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পক্ষের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছিল। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গ্রামের মহিলারা পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিক্ষোভ শুরু করেন। এমনকী পুলিশকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত দুই পক্ষের ঝামেলার মধ্যে দু’জন পুলিশকে যারা গন্ডগোল করছিল তাদের মধ্যে এক পক্ষ বেঁধে রেখেছিল। ঘটনার খবর পেয়ে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় জড়িত মোট ১০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতবছর জুন মাসে পুলিশকে মারধরে ঘটনা সামনে আসে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায়। ঘটনায় আক্রান্ত হন পুলিশের এক এসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। এসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের উপর সেই হামলার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে সোদপুরে চলছিল নাকা চেকিং। সেই সময় হেলমেট ছাড়া দুই মোটরবাইক আরোহীকে আটকানো হয়। অভিযোগ, তারপরেই মোটরবাইকে থাকা আরোহী পুলিশের উপর চড়াও হন। তাঁর ইন্ধনে আরও কয়েকজন ঘোলা থানার এসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। তাতে ব্যাপক চোট পান পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
আর এবার নদিয়ায় উঠল পুলিশকে হেনস্থা ও মারধররে অভিযোগ। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এদিনই নদিয়ায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে তিনিই আবার রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী যেদিন নদিয়ায় উপস্থিতি, সেই দিনই জেলার পুলিশ কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।