App Cab In kolkata: ‘অসুবিধে হলে নেমে যান’, যাত্রীকে সম্ভাষণ ওলা-চালকের – kolkata app cab driver rude behave with a lady passenger


এই সময়: অ্যাপ ক্যাবে বুকিং কনফার্ম হতেই চালকের কাছে ফোন গিয়েছিল যাত্রীর। আসার জন্য তাড়া দেননি তিনি। বাড়ি চিনতে এবং গাড়ি রাখতে যাতে চালকের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই যেচে সাহায্য করতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মোবাইলে মেসেজ আসে, WB 04G 5898 গাড়ি নিয়ে চালক কার্তিক এসে পড়েছেন। চালকের রেটিং ৪.৯ স্টার। অর্থাৎ, গাড়ির পরিষেবা থেকে চালকের আচরণ রীতিমতো দুরস্ত এমনটা ধরাই যায়। কিন্তু পরের কয়েক মিনিটে যা হলো তেমনটা আশা করেননি যাত্রী।

বাড়ির দরজায় এসে গাড়ির দেখা না পেয়ে একটু অবাক হয়ে বেরিয়ে দেখলেন কিছুটা দূরে ওই গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরের কথোপকথন অনেকটা এমন —

যাত্রী: এত দূরে কেন? বাড়ির সামনেই তো জায়গা খালি ছিল। সবাই তো ওখানেই দাঁড়ান।

চালক: কেন? এই দশ পা হেঁটে আসতে কি অসুবিধে হলো? আমার মনে হয়েছে তাই এখানে রেখেছি। ওখানে রাখতে আমার অসুবিধে আছে।

চালকের কথা বলার ধরনে ততক্ষণে রীতিমতো বিরক্ত যাত্রী। তবে তাঁর বিরক্তি চরমে ওঠে চালক হাতে খৈনি নিয়ে পিটতে শুরু করায়। যাত্রী স্পষ্ট ভাষায় আপত্তি জানান, ‘আমার খৈনিতে অসুবিধে আছে।’

চালক: মহিলারা পাশের সিটে বসে সিগারেট খেলে অসুবিধে হয় না? যত অসুবিধা খৈনিতে? শুনুন বাড়ি থেকে ঝগড়া করে এসে বাজে বকবেন না। অসুবিধে হলে নেমে যান। আমি এখনও ওটিপি দিইনি।

এরপর আর কথা না-বাড়িয়ে যাত্রী এসি চালানোর অনুরোধ করেন, ‘এসিটা একটু চালিয়ে দেবেন?’

চালক: এসি নেই। এখনও এসি চালানোর মতো ওয়েদার হয়নি। আমরা বুঝি কোনটা এসির ওয়েদার।

যাত্রী: আমার কখন এসি লাগবে সেটা আপনি ঠিক করবেন! আপনার গাড়িতে তো এসি মেশিনটাই নেই!

চালক: যখন বুঝব তখন লাগিয়ে নেব। আর কখন এসি লাগাব, সেটা আমি ঠিক করব।

গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর তাড়া ছিল। তাই নিতান্ত দায়ে পড়েই আরও কিছুক্ষণ ওই অভব্য অ্যাপ ক্যাব চালকের সাহচর্য সহ্য করতে হয়েছিল যাত্রীকে। রাইড শেষ হওয়ার পর বিরক্ত এবং হতাশ যাত্রীর প্রশ্ন, ‘পয়সা নিয়ে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে কি যাত্রীদের এমন ভাবে চিট করা শুরু করেছে ওলা? সংস্থা কি আদৌ খবর রাখে চালকদের আচরণ সম্পর্কে?’

App Cab In kolkata : শহরে অব্যবস্থার অন্য নাম অ্যাপ ক্যাব
অ্যাপ ক্যাব বুক করার পর কলকাতায় প্রতিদিনই চালকদের থেকে এমন অভব্য আচরণের মুখে পড়েন বহু যাত্রী। কিন্তু তাঁরা যে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবেন, সে উপায়ও নেই। শহরে ওলা বা উবরের মতো অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর কোনও অফিসই নেই। যাত্রীদের কাছে একমাত্র উপায় চালকের কম রেটিং দেওয়া। কারণ জানতে চাইলে খারাপ আচরণের উল্লেখ করা। কিন্তু তাতেও কি কাজ হয়?

অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল সেন বলছেন, ‘যে চালকের আচরণ এমন তাঁর রেটিং কী করে ৪.৯ হতে পারে! এই রেটিং ব্যাপারটার কোনও ভিত্তিই নেই।’ সংগঠন জানাচ্ছে, অনলাইন ক্যাবের চালকদের আচরণ কেমন হবে, সেই বিষয়ে অতীতে নিয়মিত ওয়ার্কশপ হতো। এখন সে সবের পাট চুকে গিয়েছে। আগে নিয়মিত গাড়ির অবস্থা পরীক্ষা করা হতো, এখন সেটাও বন্ধ। সুতরাং ‘চিট’ করার যে অভিযোগ যাত্রী করেছেন, সেটা উড়িয়ে দেওয়া যায় কি?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *