Calcutta High Court : বারের ভোটের ফল ঠিক হবে মামলার রায়ে – calcutta high court interferes in bar association vote


এই সময়: চার দিনের ভোট-পর্বের শেষের দিনে একেবারে শেষবেলায় হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হলো হাইকোর্টকে। যদিও অনিয়মের অভিযোগে ভোট স্থগিতের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, এ দিন ভোট মিটে যাওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে সব ব্যালট-বইয়ের কাউন্টার পার্ট একসঙ্গে করে মুখবন্ধ খামে জমা করতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। ইলেকশন অফিসার এই নির্দেশ মতো কাজ করবেন। এই মামলার রায়ের উপরে বারের ভোটের ফলাফল নির্ভর করবে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। শুনানির শেষে হালকা চালে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মন্তব্য, যা হচ্ছে সেটা এই প্রতিষ্ঠানের জন্যে ভালো হচ্ছে না।

ছ’হাজার আটশো ভোটারের মধ্যে এ দিন সর্বশেষ খবর পর্যন্ত চার হাজার ১৪৪ জন আইনজীবী ভোট দিয়েছেন (৬১%)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভোট দিয়েছিলেন মোটে তিন হাজার আইনজীবী। ভোটদান এত কম হওয়ায় বিভিন্ন দলের প্রভাবিত প্রার্থীই প্রমাদ গুনছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে কিছু আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ করেন, ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নাম্বার ও ভোটার স্লিপের কাউন্টার পার্টের সিরিয়াল নাম্বার এক।

ফলে গোপন ব্যালটে ভোট হলেও তাতে কোনও প্রাইভেসি থাকছে না। কে কাকে ভোট দিচ্ছেন, সেটা ইচ্ছে হলে সবাই জেনে যেতে পারেন। বিষয়টি শুনে বিচারপতি বলেন, মারাত্মক অভিযোগ। এটা সত্যি হলে আইনজীবীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

যদিও তখন আইনজীবীদের অন্য অংশের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য ও শ্রীজীব চক্রবর্তী দাবি করেন, ব্যালট পেপার-বুকের কাউন্টার পার্ট ইলেকশন অফিসারের হেফাজতে জমিয়ে রাখা হয় ৬ মাস পর্যন্ত। ব্যালট-বাক্স সিল করা হয়। ফলে সেগুলি বাইরে আসার কোনও সুযোগ নেই। ২০১৭ থেকে একই ভাবে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোট হচ্ছে। যদিও আবেদনকারী প্রশ্ন তোলেন, কেন ব্যালট পেপার ও ভোটার স্লিপের কাউন্টার পার্টে এক নাম্বার থাকবে? সেখানে ভোটারের সই থাকছে। ফলে চিহ্নিত করা সম্ভব।

Narendrapur School Incident : ‘মাধ্যমিক শুরুর আগেই গ্রেপ্তার করুন নেতাকে’, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
যদিও আইনজীবীদের আর এক অংশের তরফে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, দেশের সাধারণ নির্বাচনেও এই নিয়মে ভোট হয়। এতে কোনও ত্রুটি নেই। প্রসঙ্গত, এ বার বারের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ মার্চ। সেই মামলাতেও আদালতের নির্দেশ রয়েছে, ওই মামলার রায়ের উপরেই নির্ভর করবে ভোটের ফলাফলের ভবিষ্যৎ। আপাতত ঠিক আছে, সোমবার শুরু হবে গণনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *