এদিন সকালে হাওড়া থেকে বড়বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রবীন্দ্র রায়। ভোর পাঁচটায় হাওড়া স্টেশন ছাড়িয়ে বাসটা হাওড়া ব্রিজের উপর ওঠার সময় তিনি কার্যত চমকে উঠেছিলেন। দেখাই যাচ্ছে না আস্ত হাওড়া ব্রিজ। এই প্রবীণের কথায়, ‘মনে হচ্ছে সবটাই অদৃশ্য’। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন।
কুয়াশার দাপট আর কতদিন?
শনিবার সকালের দিকে শহর কলকাতা ছিল কুয়াশাছন্ন। দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল একেবারে তলানিতে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা দাপট কমবে। শনিবার থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। নতুন করে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও অনেকটাই কমতে পারে।
রবিবারও ভোরের দিকে কুয়াশাছন্ন থাকবে আকাশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে দৃশ্যমানতা। শনিবার পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয়। ডাউন সরাইঘাট এক্সপ্রেস ছিল চার ঘণ্টা, কামরূপ এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা, দুন এক্সপ্রেস, অমৃতসর এক্সপ্রেস দেরিতে চলে।
উল্লেখ্য, উপকূলবর্তী এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। শনিবার উত্তরবঙ্গের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ধীরে ধীরে কমছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। তার বদলে বাড়ছে পুবালি হাওয়ার প্রভাব। আর সেই কারণে তাপমাত্রাও হু হু করে বাড়ছে। নতুন করে আর শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ঠান্ডা আমেজ আরও কয়েকদিন উপভোগ করা সম্ভব হবে।
এদিকে রাজধানী দিল্লিতেও কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে। রবিবার পর্যন্ত দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ। পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। সমতলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়াও রাজস্থানে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।