ঘটনায় এক মহিলা আন্দোলনকারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার বারবার সিপিএসসিতে ২৯ জানুয়ারি থেকে বসছি। আজ ৩ তারিখ হয়ে গেলে। চেয়ারম্যান খেলা-মেলা সমস্ত কিছু নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু আমাদের দিকে তাকানোর সময় নেই। কালকে আমাদের একজন মস্তক মুণ্ডন করেছেন। আজ আরও একজন করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আমরা হাজরা যাচ্ছি, নবান্নে যাচ্ছি, আমাদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে কি দিদি একবার দেখতে পাচ্ছেন না? দিদি চাইছেন কেন্দ্রের কাছে, যাতে রাজ্যের সমস্ত বকেয়া যাতে মিটিয়ে দেওয়া হয়, দিদি একবার আমাদের দেখুন। আমরা ১৫ বছর ধরে যন্ত্রণায় ভুগছি।’
অপর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমাদের ১৫ বছরের যন্ত্রণা, তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে পারছেন না। লালবাজারে আটক হয়ে যাচ্ছি। আমরা দিদির কাছে এই বার্তাই দিতে চাই, আমার দিদির যে বঞ্চনা তার জন্য দিল্লিতেও যেতে রাজি, কিন্তু আমাদের বঞ্চনার কথা উনি তো শুনুন প্রথমে। হকের দাবি, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেননি।’
অতীতেও ঘটেছে এই ধরণের ঘটনা
এর আগে, আন্দোলনের হাজার দিনে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মহিলা এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিলে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেল চাকরি প্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে মাসের পর মাস ধরে রাজ্যে চলছে আন্দোলন। আদালতে চলছে মামলা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। তারপরেও নিয়োগ মেলেনি বলে অভিযোগ। যার জেরে বারেবারেই আন্দোলনের পথ বেছে নিতে রয়েছে চাকরি প্রার্থীদের।