জানা গিয়েছে, বাইক চালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন দুই ছাত্র। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে দ্রুত গতির কারণে ঘটে দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় আহত হন চার পরীক্ষার্থী।
জানা গিয়েছে, এই চার পরীক্ষার্থী কলিঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তাঁদের সিট পড়েছিল নলহাটির আলাদা দুটি স্কুলে। দুই ছাত্রীর সিট পড়েছিল নলহাটি হাই স্কুল ফর গার্লস এবং ছাত্রদের সিট পড়েছিল নলহাটি হরিপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত দুই ছাত্রের নাম রাজীব হক এবং নুর কালাম। এছাড়াও সোহানা পারভীন ও শাবনুর সুলতানা নামক দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও ভয়াবহ আহত হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা দিয়ে দুই ছাত্রী বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বাইকে চেপে। সেই সময় অপর দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব হক ও নুর আলমও বাইক চালিয়ে ফিরছিল। সেই সময়ই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছাত্রীদের বাইকে ধাক্কা মারে ওই দুই ছাত্র। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সোহানা। তাঁকে প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে বর্ধমানে রেফার করা হয়। কিন্তু, সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে ওই দুই মাধ্যমিক পড়ুয়া বাইক নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল? বিষয়টি নিয়ে জেলা কনভেনার সন্দীপ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাদের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে এই রকম একটি ঘটনা আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। আমরা তবুও চেষ্টা করছি যদি তারা সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বা চিকিৎসকরা যদি তাদের জানায় যে পরীক্ষা দিতে পারবে তাহলে বোর্ডের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে তাদের সমস্ত ধরনের সাহায্য করা হবে।’