এদিন CBI-এর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘দুর্নীতি এমনভাবে করা হত যাতে তিনি ছবিতে না থাকেন। কিন্তু, নিয়োগ দুর্নীতির গোটা ছবিতেই তাঁর উপস্থিতি রয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, CBI-এর তরফে আরও দাবি করা হয়, ‘দুর্নীতির প্রেক্ষিতে যাঁরা সঙ্গ দিতেন তাঁদের রাখা হত। আর কেউ বিরোধিতা করলে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত বা পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হত। এক্ষেত্রে একটি তারিখ সামনে রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি প্রসঙ্গ এখানে উত্থাপন করা হয়। CBI-এর আইনজীবী বলেন, ‘এই দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করায় এক আধিকারিককে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডাকা হয় এবং সেখানে বৈঠক করা হয়।’ সেই আধিকারিককে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে দাবি করা হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে।
এদিকে এদিন ট্রায়ালের শুরুতেই CBI-এর তরফে বলা হয়, ‘একজন চিকিৎসক যদি ভুল করেন সেক্ষেত্রে একজন রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে।’ ফলে অনেকের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পালটা মন্তব্য, ‘দ্বিতীয় চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও নাম উল্লেখ ছিল না। তৃতীয় চার্জশিটে বলা হয়েছে, অতীতে SSC বোর্ডের চেয়ারম্যান এক মহিলাকে তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বকাবকি করেছিলেন। কেন বকেছিলেন তাও উল্লেখ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরিয়ে দিত এমন কোনও নথি CBI লিস্টে দেয়নি। ১৭টা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের FSL রিপোর্ট এখনও ওরা বলছে ‘অ্যাওটেড’। সবমিলিয়ে আজ কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হবে? সেই দিকে সব নজর।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর গ্রেফতারির পর শোরগোল পড়ে যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে নাম উঠে আসা অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। অঙ্কটা ৫০ কোটির কাছাকাছি। পাশাপাশি উদ্ধার হয় রাশি রাশি গয়নাও। এরপরেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত সংশোধনাগারেই রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।