ঠিক কী বলেছিলেন CBI-এর আইনজীবী?
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকার আশেপাশে।
এরপর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু করে CBI। সেই সময় ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই তিনি সংশোধনাগারে রয়েছেন।
এবার জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, এই মামলার প্রেক্ষিতে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন CBI-এর আইনজীবী। এদিন CBI-এর আইনজীবীর কথায়, ‘কাকে নিয়োগ করা হবে সেই গোটা বিষয়টিই পরিকল্পনা করা হত। যদি কেউ দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা তুলত সেক্ষেত্রে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত।’ শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বৈঠক করে পদত্যাগ পর্যন্ত করানো হয়েছিল বলে মন্তব্য CBI-এর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত থাকলেও তিনি এমনভাবে গোটা কাজ করতেন যাতে কোথাও তিনি পিকচারে না থাকেন, আদালতে দাবি CBI-এর।
এদিন CBI-এর আইনজীবী বলেন, ‘শিক্ষকদের হাতে থাকে সমাজের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। কোনও চিকিৎসক ভুল করতে একজন রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু, যেভাবে অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে তাতে সমাজের ক্ষতি হবে। পরিস্থিতি তুলে ধরছে বর্তমান ছবিটা।’
এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘যাঁদের পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরিয়েছেন বলে দাবি করছে তাঁদেরই বাদ কমিটির রিপোর্ট বা CBI-এর চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি CBI-এর দ্বিতীয় চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, আদালত এদিন ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে এদিন আদালত স্পষ্ট জানায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অর্থাৎ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আপাতত থাকতে হবে সংশোধনাগারে।