জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের তরফে বিষয়টি জানার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ধৃতদের নাম অজয় পাসোয়ান ও সত্যদেবী পাসোয়ান। জানা গিয়েছে, অজয় পাসোয়ান ওই শিশুর বাবা। ওই মহিলা শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশি হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুকে আর এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ধৃত ২ জনকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি শিশুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে এনজেপি থানার পুলিশের একটি দল।
গত ডিসেম্বর মাসে শিশুর জন্ম
গতবছর ডিসেম্বর মাসে এনজেপি ডিএস কলোনি এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দম্পতির আগের আরও ২টি সন্তান রয়েছে। এরপর আসে তৃতীয় সন্তান। তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর তাকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়। মধ্যস্থতাকারী ওই মহিলার সহায়তায় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় শিশুটিকে। প্রায় ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই দম্পতির কাছে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে এনজেপি থানার পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি জানতে পেরেই তদন্তে নামে এনজেপি থানার পুলিশ।
প্রথমে শিশুর বাবা অজয় পাসোয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি শিশু বিক্রির কথা স্বীকার করেছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মধ্যস্থতাকারী মহিলার ধরে সন্ধান পায় এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃত ২ জনকে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই শিশুকে ভিনরাজ্যে কোনও দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই দম্পতি ও শিশুর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ।
আগেও উঠেছে শিশু বিক্রির অভিযোগ
এর আগে গত নভেম্বর মাসে মালদাতেও শিশু বিক্রির অভিযোগ ওঠে। অভাবের তাড়নায় ১৮ দিনের শিশুকে স্থানীয় ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ ওঠে পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে।