রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এ বারের রাজ্য বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা আঁচ করেই বিজেপি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ক্যাগ রিপোর্টকে ইস্যু করতে চাইছে। এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘ক্যাগ রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তা নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে তুলকালাম হবে।’
তবে ক্যাগ রিপোর্ট পুরোপুরি মিথ্যা বলে শুক্রবারই রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমরা যখন রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলাম না, সেই সময়ের কথা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ভুলে ভরা এই রিপোর্টের কোনও গুরুত্বই নেই।’
তবে বিধানসভার বাইরে সংগঠনগত ভাবেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদাররা। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে পাল্টা ধর্নারও ইঙ্গিত দিয়ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সুকান্তর কথায়, ‘তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিতে বাংলার গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। বহু যোগ্য মানুষকে বাদ দিয়ে তৃণমূল নিজেদের দলের লোকদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। আমরাও কিন্তু তাঁদের নিয়ে ধর্নায় বসে পড়তে পারি।’
বিধানসভা এবং বিধানসভার বাইরে বিজেপির আন্দোলনের তোড়জোড়কে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের মুখে বিজেপি যেনতেন প্রকারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এ সব করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ বিজেপির মুখোশের আড়ালের মুখটা দেখে ফেলেছেন।
রাজ্যের শাসকদলের এক বিধায়কের কথায়, ‘বিজেপির একটাই উদ্দেশ্য। সেটা হলো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটানো। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তঃসারশূন্য অন্তর্বর্তী বাজেটে দেশের মানুষ হতাশ। তাই রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে হট্টগোল পাকিয়ে বিজেপি বিধায়করা বাংলার মানুষের নজর অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু এ সব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবে।’