Midnapore Sadar: সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে বিক্রি! অভিযুক্ত মেদিনীপুরের দম্পতি


চম্পক দত্ত: সদ্যোজাত এক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়ি পাল থানার অন্তর্গত ফুল পাহাড়ি এলাকায়।

জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি অমর দাস ও শিবানী সিং বর্তমানে এই ফুল পাহাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। ইতিমধ্যেই এই দম্পতির ৭টি সন্তান রয়েছে। অভিযোগ কয়েকদিন আগে জন্ম নেওয়া অষ্টম কন্যা সন্তানটিকে এই দম্পতি বিক্রি করে দিয়েছে। আরামবাগের কোনও এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Bengal News LIVE Update: এক ঝলকে দেখে নিন আজকের টাটকা খবর

যদিও শিবানী সিং মানতে চাননি যে তাঁর কন্যা সন্তানকে তিনি বিক্রি করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি একজনকে তার কন্যা সন্তানটিকে দিয়ে দিয়েছে, যাতে সে ভালো করে মানুষ হয়।

এলাকাবাসীরাও জানাচ্ছে তারা শুনেছে যে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তারা বেশিদিন এই এলাকায় আসেনি তাই সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী দত্ত জানান, কয়েকদিন আগেই শিবানী সিং-এর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর এবং পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্যদের। বলা হয়েছিল যে বাচ্চাটিকে যেন কাউকে না দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন যে শিবানী জানিয়েছিলেন যে তিনি বাচ্চাটিকে কাউকে দেবে না, নিজের কাছে রাখবেন।

আরও পড়ুন: Birbhum: বীরভূমে ফের সামনে অনুব্রত! ৪০ বিঘা সম্পত্তি দখলে অভিযুক্ত কেষ্ট মন্ডলের ভাগ্নে রাজা

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুই তিন দিন আগে জানতে পেরেছি বাচ্চাটা আর নেই। জিজ্ঞেস করাতে বলেছিল একজনকে বাচ্চাটিকে দিয়েছে। যাকে বাচ্চাটিকে দিয়েছে তার ঠিকানা চেয়েছি। আগামীকাল দিলে আমরা যোগাযোগ করব’।

অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দিপালী রায় বলেন, ‘ওই মহিলা এই এলাকার নয়। কিছুদিন হল ভাড়ায় এসেছে। যখন ওর বাচ্চা হয়েছিল আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম। তারপর তো আর রোজ যাওয়া সম্ভব নয়। আর জানিও না। আপনাদের কাছ থেকেই শুনলাম বিষয়টা। অঞ্চল অফিসে পুরো ঘটনাটা জানাবো’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *