ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?
রবিবার ভবানীপুরের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই তিনি বলেন, ‘মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বলে মহাভারতে অর্জুনের রথ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। একইরকমভাবে নরেন্দ্র মোদী আছেন বলে ভারতবর্ষের মতো রথও অক্ষত রয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে শিশুরাও বলছেন যে ভারত আজ সকলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল।
রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহল
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের এই মন্তব্যের পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘রাজ্যপালের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তিনি প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পথ অনুসরণ করছেন। আর সেই কারণেই এই ধরনের মন্তব্য করছেন।’ এর আগেও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ এসেছিল তৃণমূল শিবির থেকে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যপালকে সন্মতি দেওয়া হোক।’ যদিও BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা নতুন ভারত। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর তা নিয়ে রাজ্যপাল আলোচনা করতেই পারেন। এই নিয়ে এত আলোচনা বা সমালোচনার কোনও বিষয় নেই।’
মোটের উপর রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। এর আগেও একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং হিংসার দমন করা প্রাথমিকতা।’ তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
পাশাপাশি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির ঘটনাতেও তলব করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। অন্তরালে থেকেই তিনি জামিনের জন্য আবেদন করছেন।
এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘আইনকে আইনের পথে চলছে দিন। এজেন্সি তার কাজ করছে।’ সব মিলিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সম্পর্ক অনেকটাই স্পষ্ট। সি ভি আনন্দ বোসের নতুন করে করা এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।