ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগর এলাকার বাসিন্দা বাবলি দেবনাথের সঙ্গে পলিকা গ্রামের অমিত দেবনাথের বিয়ে ঠিক হয়। এই তিনমাসে তাদের দু’জনের মধ্যে চলে ফোনালাপ। গত বুধবার তাঁদের ধুমধাম করে বিয়ে হয়। শুক্রবার ছিল তাঁদের বউভাতের অনুষ্ঠান। বউভাত উপলক্ষ্যে ছেলের বাড়িতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। সেই সময় বিয়ের ছবি তোলার জন্য নববধূ ও বরকে একসঙ্গে গলায় হাত দিয়ে দাঁড়াতে বলেন ক্যামেরাম্যান। ঠিক তখনই নতুন বউ জানিয়ে দেন বরের সঙ্গে ছবি তুলবেন না।
তাঁর এহেন আচরণে কার্যত হতবাক হয়ে যান বউভাতে আসা মানুষজন। কারণ জানতে চাইলে নতুন বউ জানান, তিনি শহরের মেয়ে। গ্রামে তার বিয়ে হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির গ্রাম মোটেই তাঁর পছন্দ নয়। তাই তিনি সংসার করতে নারাজ। ইতিমধ্যে কন্যাযাত্রী এসে পৌঁছালে রীতিমতো হুলস্থুল বেঁধে যায়।
কন্যাযাত্রীরা তাঁদের মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর শনিবার সকালে দুই পক্ষকে নিয়ে গ্রামে বসে সালিশি সভা। খবর দেওয়া হয় বক্সিরহাট থানায়। পুলিশি জেরায় নতুন বউ জানিয়ে দেন তিনি জানতেন না তাঁর গ্রামে বিয়ে হয়েছে। তাই তিনি সংসার করতে আগ্রহী নন। এরপর তাঁকে জোর করে সংসার করানোর চেষ্টা করলে আত্মঘাতী হবেন।
এই ঘটনার পর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করতে নববধূকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বর। যদিও শেষ পর্যন্ত মেয়ের পরিবার কিছুটা সময় চাওয়ায় গ্রাহ্য হয়নি সেই মামলা। এই বিষয়ে ওই নববধূর স্বামী অমিত দেবনাথ জানান, বিয়ের কয়েকদিন আগে আচমকাই তাঁর নম্বর ব্লক করে দেন বাবলি। বিয়ের পর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন বধূর মধ্যে। তবে বউভাতের দিন সবমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে আদালতে এসেছেন তিনি।
এই গোটা ঘটনায় নববধূর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মুখ খোলেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। এই গোটা ঘটনায় দিশেহারা পাত্রের পরিবারের সদস্যরা।