এই মামলায় প্রধান শিক্ষক ছাড়া FIR এ নাম থাকা বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এদিন জানায় আদালতে রাজ্য। তবে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা যায়নি কেন? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেছেন বলে জানায় রাজ্য। আগাম জামিনের আবেদন করলে কি গ্রেফতার করা যায় না ? পালটা প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষককে ৩০ জানুয়ারি সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি এদিন জানান, আশা করি পুলিশ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে। মাধ্যমিকের পরে ফের শুনানি হবে এই মামলার।
নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অধরা রয়েছেন প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত প্রবীর সর্দার, অলোক নাড়ু, মানিজুর রহমান-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুলের পরিচালন কমিটির একাধিক সদস্য সহ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে কিছু বহিরাগতরা ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু লোক এসে স্কুলে তাণ্ডব চালায়। স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়। এই ঘটনার পেছনে প্রধান শিক্ষক সহ একাধিক পরিচালন সমিতির সদস্যের চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করে স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষকরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু আগেই ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এরপরেও প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সেই কারণেই, এদিন আদালতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।