সেই লক্ষ্য নিয়েই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক মৌলনা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মসজিদ তৈরির জমির জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন জানান হয়েছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক মৌলানা আবদুস সামাদ, সভাপতি মুফতি ইয়াহ কাশিমি, পূর্ব মেদিনীপুর জমিয়তে উলেমা-এ হিন্দের ব্লক সভাপতি, সম্পাদকবৃন্দ – সহ বিশিষ্টরা।
যদিও এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা দিঘা – শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তানবির আফজল বলেন, ‘আবেদন লোকজন করতেই পারে, আমাদের যদি জমি দেখতে বলা হয়, তখন আমরা দেখব। জায়গা তো অনেকেই চেয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন থেকে চাওয়া হয়েছ। সরকারি প্রক্রিয়া আছে। আমার কাছে যদি সেই ভাবে প্রক্রিয়া মেনে আসে, তখন সেটা দেখা হবে। সরকার না বললে তো আমি কাউকে জমি দিতে পারি না।’
তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, ‘আমাদের ভারতবর্ষ ধর্ম নিরেপক্ষ রাষ্ট্র। স্বাধীনভাবে ধর্মাচারণের অধিকার সকলেরই আছে। তাঁরা আবেদন করতেই পারেন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। একটি ধর্মী সম্প্রদায় তাদের ধর্মাচারণের জন্য কোনও জায়গা সরকারের কাছে চাইতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রী অনেককেই জায়গা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস বলেন, ‘রাজ্য সরকার যখন চিন্তাভাবনার দিক থেকে দেউলিয়া হয়ে যায়, তখন সে কোনওটাই ঠিক করতে পারে না। এটা হচ্ছে তারই উদাহরণ। কোনও রাজ্য সরকারের ডিউটি নয়, মন্দির গড়ে তোলা বা মসজিদ গড়ে তোলা। কিন্তু আমাদের রাজ্যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই কাজগুলি হচ্ছে।’ সেক্ষেত্রে এখন দেখার জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি দিঘায় নতুন কোনও মসজিদ তৈরি হয় কি না।