জানা গিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে দিঘায় গিয়েছিলেন ওই তরুণী। বাইকে ছিলেন তাঁরা। সেখানে কয়েকজন তাঁদের হোটেল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর একটি ফাঁকা জায়গায় জোর করে আটকে রাখা হয় তাঁদের। তারপর আরও টেনে হিঁচড়ে আরও নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তরুণীর বন্ধুকে গাছে বেঁধে মারধরের পাশাপাশি তাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই তরুণী। তাঁর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দিঘা থানার পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই জনকে সংলগ্ন রতনপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধৃতদের সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। ৩৭৬ ধারা লাগু করা হয়েছে। টি আই প্যারেড করানো হচ্ছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ এই ধরণের ঘটনায় গোটা সৈকত শহরজুড়ে জনমানসে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিঘা ও সংলগ্ন এলাকায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধের অভিযোগ ওঠে। মাস কয়েক আগে নদিয়ার এক তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া যায় মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে। ওই তরুণী একটি বিউটা পার্লারে কাজ করতেন বলে জানা যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করে। জানা যায় সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরেই ওই তরুণীকে খুন করে দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনাতেও মন্দারমণিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
রাজ্যের মানুষের কাছে অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র হল দিঘা। শুধু রাজ্যের মানুষই নন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও বহু মানুষ সারাবছর দিঘায় বেড়াতে আসেন। সেই জায়গা থেকে দিঘায় সারাবছরই লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। আর সেই দিঘায় মহিলা পর্যটকের সঙ্গে এই ধরণের ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা সৈকতে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারাও।