Hooghly News : ছেলে দেখে না! কাজের খোঁজে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এলেন হুগলির বৃদ্ধ – hooghly old man came to cm mamata banerjee house for some job recovered by police


নিজের সন্তানের কাছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অবহেলিত হওয়ার উদাহরণ উঠে আসে বারবার। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশোনা না করলে তার বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে কঠোর আইনও। এরপরেও সমাজে এই ধরনের কলঙ্ক এখনও অব্যাহত। সেরকমই এক অসহায় বৃদ্ধ এবার নিজের সংস্থানের উপায় না দেখে সরাসরি চলে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

ছেলেদের কাছে থাকা খাওয়ার অসুবিধা রয়েছে দীর্ঘদিন। এই বৃদ্ধ বয়সে তাহলে দু’বেলা আহার জুটবে কী ভাবে? কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি দেখা করতে চলে গেলেন হুগলির এক বৃদ্ধ। অবশেষে বুঝিয়ে তাঁকে ঘরে ফেরাল পুলিশ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এলেও শেষমেষ দেখা করতে পারেননি ওই বৃদ্ধ।

কালিঘাট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে গিয়েছে তাঁর নাম ঠিকানা। বৃদ্ধের নাম রাধেশ্যাম রাম বয়স ৭৫। বাড়ি হুগলি স্টেশনের কাছে। চুঁচুড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কালীঘাট থানা। চুঁচুড়া থানা থেকে গাড়িতে বৃদ্ধের ছেলেকে নিয়ে পুলিশ কালীঘাট পৌঁছয়। সন্ধ্যায় বৃদ্ধকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। চুঁচুড়া থানায় নিয়ে এসে পুলিশ কাউন্সেলিং করে। রাতে গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।

ওই বৃদ্ধ বলেন, আট মাস ধরে আমি ঘুরছি। আজ আধার কার্ড নিয়ে গিয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যদি কোনও আশ্রমে থাকা ও কাজের ব্যবস্থা হয়। ওখানে বলল পরে আসবেন। দিদির সঙ্গে দেখা হল না। বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই থাকা-খাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে বৃদ্ধের। নিজের এলাকাতেই কিছু কর্মসংস্থানের খোঁজ করেছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু, তাতেও কিছু জোটেনি। সেই কারণে, কোনও উপায় না দেখে তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

Hooghly News Today : মাধ্যমিকের গার্ড দেওয়ার সময় যন্ত্রণায় কাতর অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকা, শুরু রক্তক্ষরণও! ভর্তি হাসপাতালে
অন্যদিকে, বৃ্দ্ধের ছেলে সঞ্জীব বলেন, বাবা আমার কাছে থাকত। এখন বলছে আমার ছেলে বেকার, কী করে খাওয়াবে। ওকে কিছু করে দিতে পারিনি। তাই চলে গিয়েছিল। এখন পুলিশ ফিরিয়ে দিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ যাতে ছেলের বাড়িতে থাকতে পারে, তার জন্য বৃদ্ধ ও তাঁকে ছেলেকে বোঝানো হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *