Panihati Municipality: আবর্জনার স্তূপে ঢেকেছে শহর, একমাসেই ভাগাড়ে পরিণত পানিহাটি – panihati municipality area is covered with garbage


এই সময়, পানিহাটি: একদিন কিংবা দু’দিন নয়, ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনের জেরে একটানা ৩১ দিন ধরে বন্ধ পানিহাটির রামচন্দ্রপুর ভাগাড়। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোনও সদুত্তর স্থানীয় পুরসভা বা প্রশাসনিক স্তরে নেই।

একদিকে ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটির পক্ষ থেকে আবর্জনা ফেলতে না দেওয়া, অন্যদিকে প্রশাসনিক স্তরে গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কারণে গোটা পানিহাটি এখন যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিটি রোড থেকে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড, গঙ্গার পাড় থেকে পাড়ার অলিগলির রাস্তা এখন আবর্জনায় ঢেকেছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, পানিহাটির মানুষ যেন নেই রাজ্যের বাসিন্দা। ভাগাড়ে ময়লা ফেলতে না পারার কারণে রাস্তায় রাস্তায় জমছে ময়লার পাহাড়। অলিগলিতে দুর্গন্ধে টেঁকা দায়। কিন্তু কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই পানিহাটি পুরসভার। যার ফলে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে পানিহাটির ৩৫টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছে কাজ করার জন্য। বিরোধী সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগ, পানিহাটি জুড়ে অপদার্থ প্রশাসনের ফল ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে, তৃণমূলের কাউন্সিলররাই তৃণমূলের পুরপ্রধানের ভরসা রাখতে পারছেন না। তাই দিন কয়েক আগে পুরসভার বোর্ড মিটিং থেকে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দলেরই কাউন্সিলাররা। ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটিকে ডেকে যাতে বিষয়টি আপসে মেটানো যায় তারও কোনও উদ্যোগ গত দু’সপ্তাহে পুরপ্রধান দেখাননি।

যদিও ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটির তরফে শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক বছরে আলোচনা অনেক হয়েছে। যতক্ষণ না রামচন্দ্রপুর থেকে ভাগাড় সরানো হচ্ছে ততদিন ময়লা ফেলতে দেব না।’ যদিও পুরপ্রধান মলয় রায় সমস্যার দ্রুত সমাধানের শুকনো আশ্বাসবাণী শুনিয়েই দায় সেরেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরমন্ত্রী থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। আমরা নিজেরাও সমস্যায় ভুক্তভোগী।’

Sodepur Flyover : সোদপুর ফ্লাইওভার ৪৫ দিন বন্ধের সুপারিশ, চিন্তায় প্রশাসন
অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি রাজ্য সরকার এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেছি। কলকাতা কর্পোরেশনের ময়লা যেখানে ফেলা হয় আপাতত সেখানে ময়লা ফেলা যায় কিনা তা মন্ত্রী দেখছেন।’

অন্যদিকে, শুক্রবার আগরপাড়ায় বিজেপির জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায় পানিহাটির ভাগাড় সমস্যা নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন করে ভাগাড় সমস্যা তৈরি করানো হচ্ছে। যার পেছনে মূল কারণ, বর্তমান চেয়ারম্যানকে অযোগ্য প্রমাণ করে ওই চেয়ারে নিজের ছেলেকে বসাতে চাইছেন বিধায়ক। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ এই রাজনীতিতে মানুষকে বিপদে পড়তে হচ্ছে।’ যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি নির্মল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *