Ration Scam Case : ‘রেশন দুর্নীতিতে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট নয়,’ নির্দেশ আদালতের – calcutta high court directs state to submit affidavit about all fir on ration scam case west bengal


রেশন দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করার ব্যাপারে হাইকোর্টে আর্জি ইডির। রাজ্যের হাতে থাকা ছয়টি মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কোর্টের। ১৫ দিনের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে। রেশন দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের আর কোনও থানায় মামলা দায়ের হয়েছে কিনা সেটা জানাতে হবে। পাশাপাশি, পুলিশি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। আগামী ৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

কলকাতা হাইকোর্ট এদিন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী শুনানিতে ছটি মামলার কেস ডাইরি হাজির করতে হবে আদালতে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন জানান, রেশন দুর্নীতি তদন্তে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত হবে। যে তদন্ত গুলি এখনও চলছে সেগুলিতে হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট দেওয়া যাবে না।

এদিন আদালতে ইডি জানায়, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে মোট ২ হাজার কোটি টাকা দুবাই পাচার হয়েছে সীমান্ত দিয়ে। ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসক দলের কয়েকজন প্রভাবশালীকে ইডি গ্রেফতার করেছে। বিচারপতি এদিন জানতে চান, কতগুলি তদন্ত বাকি আছে? মোট ৬ টা FIR হয়েছে। ইডি জানায়, গত বছর ১১ ডিসেম্বর চিঠি লিখে পুলিশের কাছে কোন মামলার কী অবস্থা সেটা জানতে চাওয়া হয়। আমরা নতুন করে তদন্ত চাই সিবিআইকে দিয়ে। ইডি আদালতে জানায়, রেশন দুর্নীতি বিষয়ক যে মামলাগুলি রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তবে ইডির এই দাবির বিরোধিতা করে রাজ্য। রাজ্য জানায়, ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে FRT দিয়ে। একটা এজেন্সি চাইছে অন্য একটা এজেন্সি তদন্ত করুক, এটা হয় না। বিচারপতি জানান, অভিযুক্ত কোনওদিন তদন্ত সংস্থা বাছতে পারে না। এজেন্সি নিয়ে এটা খাটে না। ইডি জানতে চায়, রাজ্য জানাক, কোন কোন মামলা কী অবস্থায় আছে? রাজ্য জানায়, রেশন দুর্নীতি নিয়ে মোট ৫ টি মামলায় চার্জশিট হয়েছে। একটায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ। রাজ্য হলফনামা দিতে চায়।

Calcutta High Court News : প্রধান শিক্ষক অধরা! কেন গ্রেফতার হয়নি? নরেন্দ্রপুর মামলায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান ছাড়াও ১০টি কোম্পানির উল্লেখ করা হয় সেই চার্জশিটে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান এই দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বলে জানানো হয়। সেই সময় ইডি জানিয়েছিল, এই দুর্নীতিতে আর্থিক অঙ্ক ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *