জানা গিয়েছে, আগামীদিনে দিঘার হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যে এজেন্টরা রয়েছে তাঁদের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র বা আইডেনটিটি কার্ডের ব্যবস্থা করার কথা বলা হচ্ছে। পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
কী বলছে দিঘার হোটেল মালিক সংগঠন?
এই প্রসঙ্গে দিঘা হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় সৈকতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আগামীদিনে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে হোটেল বুকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এজেন্টদের জন্য যদি একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টা করছি। আগত পর্যটকরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেই জন্য আমাদের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা জানান, হোটেল মালিকদের এক গুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয়, সেই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিঘার হোটেলগুলিতে সুরক্ষার জন্য আঁটসাঁট ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়। হোটেল মালিকদের একাংশের দাবি, পরিচয়পত্র ও ছবি ছাড়া কাউকেই কামরা দেওয়া হয় না। অধিকাংশ হোটেলেই রয়েছে CCTV ক্যামেরার নজরদারি। পাশাপাশি অনেক সময় দেখা গিয়েছে সৈকতে একা এসে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
সেই কারণে কোনও একা ব্যক্তি বা মহিলা ঘর চাইতে এলে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা হয় বা পরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলে তবেই ঘর দেওয়া হয়। যদিও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কিছু পর্যটক। ‘সোলো ট্রিপ’ -এর জমানাতে এই ধরনের চিন্তা ভাবনার আদতে কতটা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে হোটেল মালিকদের দাবি, এই বন্দোবস্ত শুধুমাত্র হোটেলে আসা পর্যটকদের জন্য। যাতে কাউকে হেনস্থার শিকার হতে না হয়, সেই দিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর।