ED Raid Today : তল্লাশিতে বেরিয়ে ক্যানসার আক্রান্তের বাড়িতে ইডি, পরিচয়পত্র দেখে মুখ চাওয়াচাওয়ি কর্তাদের! তারপর… – enforcement directorate officers have reached a wrong address in hooghly chinsurah during their raid


সাতসকালে ভুল ঠিকানায় পা রাখল ইডি। আর তাতেই আতঙ্কিত পরিবার। চুঁচুড়ার ময়নাডাঙ্গার ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার সাধুখাঁর বাড়িতে কনভয় নিয়ে সাতসকালে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সকাল ন’টা নাগাদ সদলবলে হাজির হন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তারা। দরজায় কড়া নেড়ে ইডি কর্তারা ভিতরে প্রবেশ করতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সন্দীপের পরিবার। একপ্রকার জোর করেই ভিতরে ঢোকার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। তখন ঘুম থেকে উঠে ব্যবসায়ী বেরোনোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই তার বাড়িতে হাজির হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় তল্লাশির প্রস্তুতি।

এরপরে মেমো নম্বরে সই করাতে যাওয়ার সময় সন্দীপ সাধখাঁ দেখেন সন্দীপ তাঁর নাম ঠিক থাকলেও তার বাবার নামের বানান ভুল। তার সঙ্গে চুঁচুড় থানারও উল্লেখ ছিল না। সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদীপ সাধুখাঁ। থানা ও বানান ভুল থাকাই সই করতে অস্বীকার করেন তাঁরা। এরপরেই ইডি আধিকারিকরা সন্দীপ সাধুখাঁর ভোটার ও আধার কার্ড দেখাতে বলেন। তারপরেই সন্দেহের নিষ্পত্তি হয়। সন্দীপ দাবি করেন, ইডি আধিকারিকরা ভুল হয়েছে বলেই তারপর তারা প্রায় এক ঘন্টা পর আমাদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত সাধুখাঁ। ইডি আসায় প্রতিবেশীদের মধ্যেও শুরু হয় গুঞ্জন।

সূত্রের খবর, সন্দীপের লজেন্সের ব্যবসা রয়েছে। পোলবা থানা এলাকার মহেশপুরে রয়েছে তাঁর কারখানা। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক কাজও করেন। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যবসায়িক কাজের জন্য বেরোচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় হঠাৎ ইডি আসায় তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। সন্দীপ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত, এবং কলকাতায় চিকিৎসাও চলছে তাঁর।

এই প্রসঙ্গে সন্দীপ সাধুখাঁর ছেলে শুভদীপ জানান, ‘সকালে ইডি আমাদের বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু তারা যে নাম দেখা তাদের সঙ্গে আমাদের নামের কোনও বানান মিলছিল না। আমাদের প্রচণ্ড হেনস্থা হতে হয়েছে। এতে আমাদের মানসম্মান হানি হয়েছে। পাড়ার মধ্যে যেভাবে বড় কনভয় নিয়ে এসেছে তাতে আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। পরে আইডি প্রুফ দেখানোর পরেই তাঁরা ভুল বুঝতে পারেন এবং তা স্বীকার করে বেরিয়ে যান। আমার অনুরোধ এভাবে সাধারন মানুষের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ঠিক নয়। আমার বাবার টাটা মেডিক্যালে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। ইডির মতো এত বড় কেন্দ্রীয় সংস্থা ভুল তথ্য নিয়ে কীভাবে আসে, সেটাই বুঝতে পারছি না। যখন তাঁরা ওয়ারেন্ট সই করার জন্য বলেছিলেন, তখন আমাকে সেই কপি পড়তেও দেওয়া হচ্ছিল না। এক প্রকার জোর করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আমি যখন জানতে চাই বারবার, তখন আমার সঙ্গে তাঁরা বেশি কথা বলতে চাইছিলেন না। ইডি যা করছে তাতে এক প্রকার ভদ্র মানুষকে অসম্মান করা হচ্ছে। অযথা সকালবেলা সময় নষ্ট হল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *