জনক কুমার গর্গ এদিন হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে এই অংশের পরিদর্শন শুরু করেন। তিনি হুগলি নদীর তলদেশে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত একটি মেট্রোতে ভ্রমণ করেন এবং প্রবেশ ও প্রস্থান গেট, এএফসি-পিসি গেট, টিকিট সিস্টেম, কিউআর কোড ভিত্তিক টিকিট সিস্টেম, স্টেশন কন্ট্রোল রুম, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, ট্র্যাকশন সাব-সিস্টেম, ব্যাক আপ কন্ট্রোলও পরিদর্শন করেন। এছাড়াও এসকেলেটর, লিফ্ট, সাইনেজ বোর্ড, ফায়ার ডিটেকশন ও সাপ্রেশন সিস্টেম, ফায়ার অ্যালার্মের দক্ষতা, ইমার্জেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম, ব্লু লাইট সিস্টেম এবং প্রতিটি স্টেশনের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও পরীক্ষা করে দেখেন।
হাওড়া স্টেশনে পূর্ব রেলওয়ে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে যাত্রী বিনিময় পয়েন্টগুলিও পরিদর্শন করেন সিসিআরএস। এই স্টেশনটি আগামীদিনে কলকাতা মেট্রো এবং পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি জংশন হতে চলেছে৷ আগামী দিনে লাখ লাখ যাত্রী তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এই স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে সিসিআরএস-এর উপস্থিতিতে, CBTC সিগন্যালিং সিস্টেমও পরীক্ষা করে দেখা হয়। করা অ্যান্টি-কলিশন টেস্ট। সন্ধ্যায় স্পিড ট্রায়ালও করা হয়। স্পিড ট্রায়ালের সময় হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড স্টেশন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯১ কিলোমিটার গতিতে রেক চালানো হয়। এই পরিদর্শনের সময় চিফ কমিশনার অফ রেওয়েল সেফটি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গঙ্গার তলা দিয়ে কবে চলবে মেট্রো, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। কারণ এটি হলে হাওড়া এবং কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে উঠবে। তারই মাঝে এবার পরপর দু’দিন লাইন খতিয়ে দেখলেন সিসিআরএস। সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই এই লাইনে পরিষেবা চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।