Madhyamik Exam: মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে প্রশ্ন পাচারের চেষ্টা, বাতিল হলো ৯ জনের পরীক্ষা – madhyamik third day question papers leaked in malda cancel nine students exam


এই সময়: মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিনেও প্রশ্ন পাচারের চেষ্টা আটকানো গেল না। সোমবারও মালদা সহ ছটি জেলায় ৯ জন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই এ বছরের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার রায়গ্রাম হাইস্কুলেরই তিনজন ছাড়াও কলকাতার কাশীপুর ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস ও মিলনগড় বালিকা বিদ্যালয়ের দুই পরীক্ষার্থীর থেকেও মোবাইল মিলেছে।

অন্যদিকে টুকতে বাধা দেওয়ায় জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া পাচিরাম নহাটা হাইস্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় পরীক্ষার্থীরা। সেখানে দু’টি স্কুলের সিট পড়েছিল। টোকাটুকিতে বাধা পেয়ে সিলিং ফ্যান, দরজার পাল্লা এবং ক্লাসরুমের জানালা ভেঙে দিয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। পাচিরাম নহাটা স্কুলে এদিন গুচ্ছ গুচ্ছ টুকলির কাগজ পোড়ান শিক্ষাকর্মীরা। তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মীদের বিরোধ শুরু হয়।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন সকাল পৌনে আটটায় আলিপুরদুয়ার থেকে পরীক্ষার সময় স্কুল পরিদর্শন শুরু করেন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ঘুরে সন্ধ্যায় মালদায় পৌঁছন তিনি। সেখানে রামানুজ বলেন, ‘এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে ৬টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৯ জন ফোন সমেত ধরা পড়েছে। প্রত্যেকের এ বছরের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পরীক্ষা সিস্টেমটাকে নষ্ট করে দিতে চক্রান্ত চলছে।’

তাঁর সংযোজন, ‘শুধুমাত্র প্রশাসন দিয়ে হয় না। বোর্ড শুধু এদের ধরার কাজ করছে না। ন’লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের জন্যও কাজ করছে। বাচ্চাদের সামনে রেখে বাইরে থেকে একটা চক্র এসব করছে৷ জলপাইগুড়ির পরীক্ষা কেন্দ্রে যে স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছে, সংশ্লিষ্ট স্কুল ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের পড়ুয়াদের রেজাল্ট উইথহেল্ড থাকবে।’

Madhyamik Exam: কোডেই কাত, প্রশ্ন ফাঁসে ধৃত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
প্রশ্ন পাচারের ঘটনা নিয়ে বিজেপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ, ‘মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা বাতিল হলেও ইনভিজিলেটর বা পরিদর্শকদের কেন শাস্তি হবে না?’ তিনি পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও প্রশ্নপত্রর ছাপানো খাতে খরচ হয়েছে ২৫ কোটি টাকার বেশি। যা বিগত কয়েক বছরের চার-পাঁচগুণ বেশি।’ অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যা নিয়ে হাইকোর্ট এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিরও দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল।

উত্তরবঙ্গ ঘুরে সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রামানুজ দাবি করেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক। তবে প্রশ্ন ছাপার খরচ বেড়েছে। সে কারণেই সার্বিক বরাদ্দও বেড়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগের নামে বালখিল্য আচরণ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল সহ ধরা পড়ার জন্য ৯ জন পরীক্ষার্থীর এবছরের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি।

সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে মানেই তাঁরা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিতে পেরেছে, তা নয়।’ উল্লেখ্য, এ বছর মাধ্যমিকের প্রথম তিন দিনে মালদা জেলা থেকেই মোট ১৫ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হলো।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *