বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন ২২০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে। এদিনই মোট দু’টি পর্বে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিন কাউন্সেলিং-এ উপস্থিত সকলের মুখেই খুশির হাসি। তাঁদের কথায়, ‘দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। প্রতীক্ষার দিন গোনা শেষ। ২০১৪ সালে টেট পাশের পর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। এখন নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র।’ খুশি অভিভাবকরাও।
নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানেও। মঙ্গলবার ৯৮ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক জেলায় মোট ৭৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পর্ষদের নিয়ম মেনে কাউন্সেলিংয়ের পর প্রাথমিকভাবে ৯৮ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের হাতে ধাপে ধাপে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।
২০১৭ সালে ফর্ম ফিলআপ থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর আইনি লড়াই লড়তে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান চাকরিপ্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ২০২২ সালের প্যানেলের নিয়োগ আইনি জটে আটকে ছিল। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এরপরেই নির্দিষ্ট পদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে তৎপর হয় পর্ষদ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সামনে আমরণ অনশনেরর ডাক দিয়েছিলেন ২০০৯-এর চাকরিপ্রার্থীরা। ১৮৩৪ জনের প্যানেল প্রকাশের দাবিতে তাঁরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন। আন্দোলন, ধরনার মাঝেই ফের নিয়োগ। ৩৬৪ জনের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ। বামেদের সময় ২০০৯ সালের নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যেই এই জেলায় ১৫০৬ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। বাকি ৩৬৪ নিয়োগ।