পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা তথা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সুদীপ্তা মিত্রের সঙ্গে একই স্কুলে পড়়াতেন নির্যাতিতা৷ তিনি সার্ভেপার্ক এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ ধৃত ওই শিক্ষিকা প্রজেনজিৎ রাউত নামে কলকাতা মেট্রোরেলের এক কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছেন৷ তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ সুদীপ্তার মাধ্যমে নির্যাতিতার পরিচয় হয় প্রসেনজিতের ৷ তিনজনে মাঝেমধ্যে নানান জায়গায় ঘুরতে যেতেন ও খাওয়া দাওয়া করতেন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সুদীপ্তার ইন্ধনে নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে প্রসেনজিৎ ৷ নির্যাতিতাও প্রসেনজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ নির্যাতিতা বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ তাই তাঁর বাড়িতেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হত৷
ঘটনার দিনও প্রসেনজিৎ ও সুদীপ্তা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন৷ দু’জনেই রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ৷ রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে প্রসেনজিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে সুদীপ্তা ৷ সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে সুদীপ্তা ও প্রসেনজিৎ নির্যাতিতার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেয়। এছাড়া সোনার গহনাও নেয় বলে অভিযোগ ৷ ২০ লাখ টাকা দেওয়ার পরেও ফের ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাওয়ায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দারস্থ হন নির্যাতিতা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে অভিযোগকারিণী জানিয়ছেন, ঘটনার দিন অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সুদীপ্তা ও প্রসেনজিৎকে নিজের বাড়িতেই থেকে যেতে বলেন তিনি। তারপরেই বেশি রাতের দিকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় প্রসেনজিৎ। আর তখনই সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দী করে রাখা হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।
প্রসঙ্গত, এই ধরণের ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় এই ধরণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অনেক সময়ই প্রেমের সম্পর্কের জড়িয়ে তরুণীদের গোপন মুহূর্তের ছবি রেকর্ড করে পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছে। আর এবার শিক্ষিকার সঙ্গে এই ধরণের ঘটনার অভিযোগ উঠল।