কটি নতুন পদ তৈরি?
জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোট ১২০০টি নয়া পদ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তাতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ১২০০টি পদের মধ্যে সবথেকে বেশি নিয়োগের উল্লেখ থাকছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গেলে নতুন করে কোনও ঘোষণা করা সম্ভব নয়। সেই দিক থেকে এই সিদ্ধান্ত একদমই যথাযথ সময়ে নেওয়া বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
জলজীবন মিশনের জন্য বড় উদ্যোগ
এই প্রকল্পে গতি আনার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, অরূপ বিশ্বাস।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রকল্পটির রূপায়ণ, রক্ষণাবেক্ষণে অপেক্ষায় অধিক কাজ ও টাকা ব্যয় করছে রাজ্য। কিন্তু, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই নাম নিয়ে চাইছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। এই প্রকল্পে যাতে গতি আসে সেই বিষয়েও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, জলজীবন প্রকল্পে গতি এসেছে। সোমবারের মধ্যে ৭৪.৬০ লাখ বাড়িতে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চার দফায় এই প্রকল্পের আওতায় ৯৫১ কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সেই একই পরিমাণ বরাদ্দ রাজ্য়ের তরফ থেকেও সুনিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল বড় সিদ্ধান্ত। সেখানেও একাধিক নতুন পদ তৈরির সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছিল। পাশাপাশি পুলিশে বড় সংখ্যায় নিয়োগ হবে, এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে।