আর সেই অটোর বিরুদ্ধেই বিভিন্ন জায়গায় ওঠে ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ। এমনকী একই রুটে যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় ভাড়ার পার্থক্য দেখা যায় বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীদের কেউ কেউ। কোনও কোনও সময় এর প্রতিবাদও করেন যাত্রীদের একাংশ, যার জেরে অটোচালকদের সঙ্গে বচসাও বেঁধে যায়। কিন্তু তারপরেও খেয়ালখুশি মতো ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আসতেই থাকে। আর যেহেতু নিত্য যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের একটা বড় অংশকে অটোর ওপর ভরসা করতেই হয়, তাই চালকদের মর্জি মত ভাড়ার দাবি কার্যত বাধ্য হয়েই মেনে নেন তাঁরাও।
এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এই সময় ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘আমরা তো নির্ধারিত করে দিয়েছি, মানুষ ভাড়া দেবে না, চ্যালেঞ্জ করবে, তাহলেই সম্ভব। এবার ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ওই ভাড়াটাকেই মেনে নিয়ে যাচ্ছেন, ২ জনের অসুবিধা হচ্ছে, তাঁরা অভিযোগ করছেন। ভাড়া তো বাজারের ওপর নির্ভর করে। সরকার থেকে ভাড়া নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বেসরকারি উদ্যোগের ভাড়া তো যাত্রীদের ওপরেও নির্ভর করে।’
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকদিন আগে অটোর একটা ভাড়া ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। এখন জ্বালানির দাম বেড়েছে, তাই এরাও ভাড়া বাড়াচ্ছে। তবে কোথাও যদি লাগাম ছাড়া ভাড়া নেয়, আর যাত্রীরা যদি অটোর নম্বর নিয়ে অভিযোগ করেন, আমরা সেটা ব্যবস্থা নেব।’ তবে এক্ষেত্রে অটোর জন্য নতুন কোনও ভাড়ার তালিকা আনা হবে কি না, সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু জানালেন না মন্ত্রী।
এক্ষেত্রে মন্ত্রীর কথায় একটা বিষয় পরিষ্কার, অটোচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিলে বা তা নিয়ে কোনও যাত্রীর সমস্যা থাকলে তিনি সরাসরি থানায় অভিযোগ জানাতে পারবেন, আর সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নেবে প্রশাসন। এখন দেখার মন্ত্রীর এই কথার পরে আদতেও অটোর খেয়ালখুশি মতো ভাড়ার দাবিতে লাগাম পরানো যায় কি না।