নানুরের থুপসারা অঞ্চলের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য মুকুল শেখ আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সরিনা বিবিকে বাঁশ লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটানো হয় এবং হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর দুই মেয়ে মহিমা খাতুন ও মিলি খাতুন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মুকুল এলাকায় ‘অনুব্রত ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় কাজল শেখের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, মুকুল শেখের দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও ওঠে অভিযোগ। তারপর বাধা দিতে গেলে মুকুল ও তাঁর স্ত্রীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মুকুল শেখ ও তাঁর স্ত্রী-মেয়েকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বীরভূমের গোষ্ঠী কোন্দল। পাশাপাশি চর্চায় উঠে এসেছে বীরভূমে কাজল এবং অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্ক সমীকরণও। কিছুদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকেও কাজল শেখকে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কোর কমিটির সদস্যও করা হয়নি। এই ঘটনার পর ফের একবার চর্চায় অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের সম্পর্ক রসায়ন।
যদিও এই গোটা ঘটনাটিকে যাতে কোনওভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রূপ না দেওয়া হয় সেই জন্য অনুরোধ করেছেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, ‘বীরভূম জেলাতে একটাই গ্রুপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। আমি শুনেছি ইতিমধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে ঘটনায়। পুলিশ ভালো কাজ করছে। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। য়ারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে। বাড়ি ঢুকে মারধর, কারও হাত ভাঙছে, অন্যরা আহত হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। দলমত নির্বিশেষে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। যে দোষ করবে সে তৃণমূল কর্মী হলেও শাস্তি পাবে।’