CAG Report In West Bengal: ক্যাগ নিয়ে সরগরম বিধানসভা, বিজেপির দাবি খারিজ অধ্যক্ষের – west bengal legislative assembly speaker biman banerjee rejected demand of bjp about cag report


এই সময়: কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে সংসদে গত ক’দিন ধরে তীব্র বাগযুদ্ধ চলছে বিজেপি ও তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে। এই রিপোর্ট অসত্য বলে দাবি করে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরগরম রাজ্য বিধানসভা।

এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি সোচ্চার হলেও ক্যাগ রিপোর্টের সারবত্তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। রাজ্য সরকার যদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেয়, তা হলে এতদিন কীভাবে মোদী সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে, সে প্রশ্নও তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা।

শোভনদেব এদিন বিধানসভায় নিজের কক্ষে বলেন, ‘ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। যাঁরা দুর্নীতির কথা বলছেন, তাঁরা কেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে কিছু বলছেন না কেন? কেন্দ্রের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসায় প্রধানমন্ত্রী এই অডিটরদের উপরে খাপ্পা হয়েছেন।’ আবার এদিন সংসদে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি বাংলাকে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা না দেওয়া হয়, তা হলে ন্যাশনাল হাইওয়ে নিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট কোথায়? আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট কোথায়? দেশের কোন কোন রাজ্যকে ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে এবং কোন কোন রাজ্যকে দিচ্ছে না, তা জানান।’

শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি এ দিন বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনে আলোচনার দাবিতে সরব হয়। যদিও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি খারিজ করে দেন। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বিধায়করা। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘ক্যাগ রিপোর্টে কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া হয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুসরণ না করার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে চুরির তথ্য রয়েছে। তাই ক্যাগ শুনলেই রাজ্যের শাসক দল লাফাচ্ছে।’

CAG Report On West Bengal : রাজ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচে গরমিলের অভিযোগ, দ্রুত শুনানির আর্জি হাইকোর্টে
যদিও শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধানসভার ভিতরে যেভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ। শুভেন্দুর অভিযোগ নিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। যদি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেওয়া হয়, তা হলে কীভাবে কেন্দ্র বছরের পর বছর টাকা দিয়েছে? বিধানসভায় ওঁরা নাটক করতেই পারেন। কিন্তু এটা বিধানসভার আলোচ্য বিষয় হতে পারে না।’

শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গে ফেক জব কার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করায় শশী পাঁজা বলেন, ‘বাংলায় ৯৯ শতাংশ জব কার্ডের ভেরিফিকেশন হয়েছে। সেখানে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ৮২ শতাংশ ভেরিফিকেশন হয়েছে। আধার সংযোগ বাংলায় ৯৯ শতাংশ হয়েছে। গুজরাটে এই হার ৫৩ শতাংশ। গুজরাটে কি একশো দিনের টাকা বন্ধ হয়েছে?’ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার খরচের হিসেবে গরমিল নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে আগেই। তার দ্রুত শুনানি চেয়ে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মামলাকারী বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *