Eye Examination,কাছে ঝাপসা, দূরে ঘোলাটে! চোখের সমস্যায় বহু চালকই – bidhannagar commissionerate organised free eye examination for bus auto taxi drivers in kolkata


এই সময়: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাস তিনেক আগেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভের টেকনোপলিস মোড়ে একটি বেসরকারি বাস ধাক্কা মারে প্রাইভেট গাড়িকে। ঘটনায় কেউ গুরুতর জখম না হলেও ওই বাস চালকের সঙ্গে কথা বলে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা জানতে পারেন, চোখের সমস্যা রয়েছে তাঁর। তবে তিনি চিকিৎসা করাননি। ভিআইপি রোডের একটি বাস দুর্ঘটনার নেপথ্যেও উঠে আসে বাস চালকের চোখের সমস্যার কথা।

এর পরেই বাস, অটো, ট্যাক্সি চালকদের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট। সম্প্রতি আয়োজিত ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১০০ জন চালক। এদের মধ্যে ৪০ জনেরই চোখে পাওয়ার রয়েছে এবং ৬০ জনই নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান না বলে উঠে এসেছে ওই পরীক্ষায়, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর।

বিধাননগর ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের সর্বত্রই মোটের উপর ছবিটা একই। অথচ পরিবহণ দপ্তরের নিয়ম বলছে, প্রতি ৬ মাস অন্তর বাস চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাটা জরুরি। কিন্তু, বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হয় না বললেই চলে। যার জেরেই মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। চালকরাও নিজে থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হন না।

রাজ্য পুলিশের কর্তাদের পক্ষ থেকে বাস চালকদের এই সমস্যার কথা সম্প্রতি জানানো হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রীকে। এর পরেই পরিবহণ দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতি ৬ মাস অন্তর চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। এর জন্য সরকারের তরফে যাবতীয় সাহায্যও করা হবে। বাস মালিকরা এই নিয়ম না মানলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। পুলিশের সঙ্গে পৃথক একটি নজরদারি কমিটি তৈরি হবে বলে ঠিক হয়েছে।

পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘লাইসেন্স দেওয়ার সময়ে চোখ পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তী সময়ে চালকরা অনেকেই এ বিষয়ে উদাসীন। তবে সরকারি বাসের চালকদের জন্য দপ্তরের তরফে চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।’ কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকরা মাথা ঘামান না এই সমস্যায়। তাই এই নিয়ম যাতে সকলে মেনে চলেন, সে জন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে যা করণীয়, করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে বেসরকারি বাসের মালিকরা উদাসীন, তা মেনে নিচ্ছেন অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মালিকদের যেমন গাফিলতি রয়েছে, তেমনই সরকারও এতদিন এ বিষয়ে নজরদারি করেনি। চালকদের চোখ-সহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়াটা জরুরি।’

চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু ব্যাণিজ্যিক গাড়ির চালকরা অনেক দেরি করে আসেন। ততক্ষণে চোখের ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *