এদিন হাওড়া জেলায় একাধিক সরকারি পরিষেবা প্রদান এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমরা একশো দিনের টাকা প্রকল্পে এক নম্বরে ছিলাম, গ্রামীণ রাস্তা প্রকল্পে এক নম্বরে ছিলাম। সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী এরপরেই বলেন, ‘বাংলা মাথানত করে না। মা-বোনেরা সংসার চালান কী করে? কোনওদিন আলু ভাত খান, কোনওদিন মাছ ভাত খান। যে মাসে টাকা টান পড়ে, সেই মাসে ধার করেন। দোকানদারকে আমাকে দাও ভাই। আমি আগামী মাসে তোমারটা শোধ করে দেব। আমাকেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালাতে হয়। আমাকেও সংসার চালাতে হয়। যখন প্রাপ্য টাকা বন্ধ করা হয়, মা বোনেরা যেভাবে সংসার চালায়, আমিও সেভাবে সংসার চালাই।’
বাংলা মাথানত করে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন একাধিক প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি রাজ্যের প্রাপ্য টাকা ছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘যখন প্রাপ্য টাকা পাই না, তখন মা-বোনেরা যেভাবে সংসার চালান, আমিও সেইভাবে সংসার চালাবো।
প্রসঙ্গত, একশো দিনের বকেয়া মেটাতে সারা রাজ্যের প্রায় একুশ লাখ মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা মেটাতে হবে রাজ্যকে। কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা মেটালে পুরো চাপটাই গিয়ে পড়বে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে। সেক্ষেত্রে রাজ্য বাজেটের আগে একটি বাড়তি ভার নিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
সেখানেই মমতা যুক্তি দেখান, বাড়ির গৃহিণীরা যেভাবে সংসার চালান, সেই পথ অবলম্বন করবেন তিনি। সহজে বললে, কোনও ক্ষেত্রে অর্থ খরচের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে, কিছুটা ব্যতি রেখেই এই অর্থ মেটানো হবে। নিজের কথায় মমতা উল্লেখ করেন, ‘যে মাসে টাকা টান পড়ে, সেই মাসে ধার করেন। দোকানদারকে আমাকে দাও ভাই। আমি আগামী মাসে তোমারটা শোধ করে দেব।’ সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ফের আর্থিক ঋণের পথে এগোতে পারে, সেরকম ইঙ্গিত শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।