প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে কিছুদিন আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এর আগে তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশিও হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি উদ্ধার সিবিআই। এই তদন্তে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ছিলেন এই বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেই খবর। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগসাজশের জেরেই তাঁকে এবার ডেকে পাঠাল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে তাঁর আয়কর রির্টান, যতগুলি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলির নম্বর ও আরও কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির দেওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। তাঁর সম্পত্তির হিসেব ঘেঁটে দেখার জন্যেই বাপ্পাদিত্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে কাউন্সিলরের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি টিম। প্রায় পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। তার ভিত্তিতে গত মাসে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সিবিআই তলবে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কাউন্সিলরকে। জেরার পর বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি সবরকম সহযোগিতা করছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ এই কাউন্সিলরের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি খুঁজে বের করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে বেশ কিছু বায়োডাটা এবং আয়কর সংক্রান্ত কাগজ উদ্ধার করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের জেরার পর বাপ্পাদিত্য জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।