ঠিক কী বলেছেন পুলক রায়?
তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পানীয় জলের সমস্যা জানতে দুটি পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করছে। জল না পেলে অভিযোগ করা যাবে। এই নম্বর দুটি হল ৮৯০২০২২২২২ /৮৯০২০৬৬৬৬৬৷’
জলের সমস্যা যাতে না হয় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, জলজীবন মিশনে যাতে গতি আসে সেই জন্য সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভায় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জল নিয়ে যাতে নিজেদের অসুবিধার কথা বলা সম্ভব হয় সেই কারণ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন পুলক রায়।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের কোনও এলাকায় পূর্ত দফতরের কোনও রাস্তা খারাপ থাকলে সরাসরি দফতরে হোয়াটস অ্যাপ করে জানানো যাবে অভিযোগ। আর তারই উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই নম্বর হল ৯০৮৮৮২২১১১৷’
উল্লেখ্য়, গত বছরের বাজেটে রাস্তাশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় একই রকমভাবে এলাকায় কোনও রাস্তা, কার্লভার্ট বা সেতু মেরামতির প্রয়োজন হলে রাজ্য পূর্ত দফতরকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে জানানো সম্ভব হবে। সেই সময় যে নম্বরটি দেওয়া হয়েছিল তা হল ৯০৭৩৩৬২০০০। স্থানীয় মানুষরা এই নম্বরে ফোন করে রাস্তা, সেতু সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে নাগরিকরা তাঁদের নাম, পঞ্চায়েত সংক্রান্ত তথ্য এবং রাস্তার নাম-ঠিকানা জানিয়ে ওই নম্বরটিতে জানাতে হত। রাস্তা সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানানো যেত ওই নম্বরে। যাতে রাজ্যের রাস্তাঘাটগুলি ঝাঁ চকচকে থাকে সেই জন্য ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই মাস থেকে রাজ্যের জন্য ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার এবং পুনঃনির্মাণের জন্য মোট তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষ যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল পান সেই জন্য কোনও আপোস করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় কাজ করতে হয় রাজ্যকে। পাশাপাশি একই পরিমাণ অর্থও দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার জন্য ৯৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।