জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে উলুবেড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করতে উলুবেড়িয়া ষ্টেশনে পৌঁছয়। নাবালিকার দিদি বোনের জন্য খাবার করে পাঠিয়েছিলেন। সেই খাবার নিতে স্টেশনে পৌঁছেছিল নাবালিকা। সূত্রের খবর রাতে জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল নাবালিকা। ৫ নম্বর প্লাটফর্মের শেষের দিকে নাবালিকাকে এগিয়ে আসেন তার জামাইবাবু। এরপর জামাইবাবু বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তারপরেই রেললাইন ধরে বাড়ির পথে ফিরছিল নাবালিকা।
রাস্তায় পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা
অভিযোগ, সেই সময় ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে কিছুটা দূরে রেল লাইনের ধারে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই নাবালিকার পথ আটকায়। তার হাত ধরে টেনে নিয়ে ঝোপের আড়ালে চলে যায়। তারপর নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার কাছে টাকা মোবাইল ও অন্যান্য যা সামগ্রী ছিল সেগুলিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে রেললাইনের ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ঘন্টাখানেক নাবালিকা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রেল লাইনের ধারে পড়ে থাকে। পরে জ্ঞান ফিরলে নাবালিকা কোনক্রমে বাড়ি ফিরে যায়।
রাতেই সিটি স্ক্যান হয়েছে
বাড়ি ফিরে সব ঘটনা পরিবারের লোকজনদের খুলে বলে। নাবালিকার পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে গিয়ে উলুবেড়িয়া জিআরপি থানায় অভিযোগ জানায়। এরপর নাবালিকাকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই নাবালিকার মাথার সিটি স্ক্যান হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল ও রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার সাথী ভাঙ্গালিয়া ও রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা। জিআরপি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে ও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।