Biriyani Shop : বিরিয়ানিতে মিশছে ‘বিষ’! ২ নামী দোকানে তালা – two renowned biryani shops close in krishnanagar


বিরিয়ানি মানেই বাঙালির আবেগ। রসনাতৃপ্তির জন্য মাঝে মধ্যে অনেকেই বিরিয়ানিতে মন দেন। আর সেই সুযোগ নিয়ে কৃষ্ণনগরে ব্যাঙের ছাতার মতো একের পর এক গজিয়ে উঠেছিল বিরিয়ানির দোকান। কম দামে বিরিয়ানি খেতে ক্রেতারাও ভিড় করছিল বিস্তর। ফুলে ফেঁপে ওঠে বিরিয়ানি বিক্রেতারা।

কিন্তু, প্রশ্ন উঠছিল এই বিরিয়ানিগুলির গুণগত মান নিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগরের পোষ্ট অফিস মোড় ও ক্ষৌনিশ পার্ক মোড়ের দুটি প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকানে অতর্কিতে হানা দেন ফুড সেফটি দফতরের আধিকারিকরা। ওই দোকান দুটির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় বিভিন্ন রাসায়নিক। কৃত্রিম উপায়ে বিরিয়ানির স্বাদ ও গন্ধ আনতে ওই রাসায়নিকগুলি বিরিয়ানিতে মেশানো হত, যা শরীরের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। এছাড়াও ওই দোকান দুটিতে ফুড সেফটি দফতরের কোনও অনুমতি ছিল না। এরপরেই দোকান দুটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফুড সেফটি আধিকারিকরা।

ঠিক কী কারণে এই দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়?

আমরা বিভিন্ন বিরিয়ানির দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে খাবারের গুণগত মানের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টি আমরা যাচাই করে দেখি। কয়েকটি বিরিয়ানির দোকানে বিভিন্ন ফুড ফ্লেভার মেশানো হচ্ছে, যেগুলি FSSI-এর ছাড় পায়নি। বিভিন্ন দোকানগুলিকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি দোকানকে বন্ধ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন তাঁরা যে খাবার খাচ্ছেন তা আদতে বিষ। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হবে। আমাদের দফতরের পক্ষ থেকে প্রায়ই এই ধরনের অভিযান চালানো হবে। সাধারণ মানুষ যাতে সচেতন হয় সেই জন্য এই পদক্ষেপ।

তবে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এই পদক্ষেপের পর এই নিয়ে আর বিশেষ কোনও মন্তব্য করেননি দোকানদাররা। অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই বিরিয়ানির দোকানগুলি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের। সাধারণ মানুষকে এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্তরে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

Dada Boudi Biryani Barrackpore : দাদা বউদির বিরিয়ানি-র দায়িত্ব কাদের হাতে? চিনে নিন শুভম-সানা-প্রিয়াঙ্কাকে
উল্লেখ্য, শুধু কৃষ্ণনগর নয়, শহর কলকাতাতেও একাধিক এলাকায় গড়ে উঠেছে বিরিয়ানির দোকান। যেখানে অল্প দামে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে। এই দোকানগুলির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বিশেষভাবে। জানা গিয়েছে, সেখানে ভালো মানের জিনিসপত্র খাবারে দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়মিত খতিয়ে দেখতে অভিযান চালানোর কথা ভাবছেন ফুড সেফটি দফতরের আধিকারিকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *