Calcutta High Court: ইডি-তে গরহাজির শাহজাহান, সিটে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চে – calcutta high court division bench suspension in special investigation team on sandeshkhali incident


এই সময়: সন্দেশখালিতে তাঁর বাড়িতে অভিযানে গিয়ে নিগৃহীত হওয়ার পরে একমাসের বেশি কেটে গিয়েছে। এখনও খোঁজ নেই সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। এরমধ্যে রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি দ্বিতীয়বার হাজিরার নোটিস পাঠালেও বুধবারও গরহাজির রইলেন তিনি। আর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তভার রাজ্য পুলিশ ও সিবিআই আধিকারিকদের নেতৃত্বে গড়া বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের হাতে দিলেও বুধবার তার উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

ফলে এখন একটা প্রশ্ন জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে-সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের নিগ্রহের ঘটনায় শাহজাহানকে খোঁজার দায়িত্ব কার? হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের পরে ন্যাজাট থানা জানিয়ে দিয়েছিল, এই মামলা আর তাদের এক্তিয়ারে নেই, দায়িত্ব সিটের। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, এদিন সিটের উপরই ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তভার আপাতত ন্যাজাট থানা তথা রাজ্য পুলিশের হাতেই ফিরে গেল।

সিঙ্গল বেঞ্চের সিট গড়ার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আগেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও ইডি। যদিও দু’পক্ষের যুক্তি আলাদা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদনের উপর শুনানি করে জানিয়ে দেয়, রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে নিয়ে গঠিত সিটের উপর ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ ওই তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইয়ের দুই এসপি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে সিট গঠন করে। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ও ইডি।

এদিন ইডি-র কৌঁসুলি ধীরাজ ত্রিবেদীর সওয়াল, ‘সিবিআইয়ের সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে রেখে এই সিট গঠনের আমরা বিরোধিতা করছি। কারণ, রেশন দুর্নীতির মূল মামলায় রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী অভিযুক্ত। তিনি জেলে আছেন। রাজ্য পুলিশ এই তদন্তের ক্ষেত্রে একেবারেই যোগ্য সংস্থা নয়।’ তাঁর সংযোজন, ‘নথি বিকৃত করা হতে পারে। তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা করা হতে পারে। রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।’ ইডির বক্তব্য শুনে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

Calcutta High Court News : রাজ্য পুলিশে আপত্তি ইডির, সন্দেশখালিকাণ্ডে সিট-এর তদন্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
এদিকে, এদিন ইডির তরফ থেকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হলেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে আসেননি শেখ শাহজাহান। তবে বেলা একটা নাগাদ এক জুনিয়র আইনজীবী এসে পৌঁছন ইডির অফিসে। ঢোকার মুখে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিনিয়রের কথামতোই একটি চিঠি জমা করতে এসেছি।’ চিঠিতে কী লেখা আছে? শাহজাহান কি হাজিরার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছেন?

জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, ‘হতে পারে তাই। এর বেশি আমার জানা নেই।’ ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে ওই আইনজীবী বলেন, ‘চিঠি নেওয়া হয়নি। কেন নেওয়া হলো না, তা জানা নেই। তবে, চিঠিটা ওঁরা খাম থেকে বার করে পড়েছেন। আমার কাছে ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’ চাওয়া হয়। এরপরেই চিঠি নিতে অস্বীকার করা হয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *