তাঁদের কথায়, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-র ব্যবধান এখনও বিস্তর। কিন্তু, বারংবার DA ঘোষণা করার ফলে শতাংশটা খুব একটা না বাড়লেও মানুষের মনে হচ্ছে আমরা অনেকটা টাকা পাচ্ছি, যা একেবারেই ঠিক নয়।’ অন্যদিকে, তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীদের সংগঠনের তরফে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কিন্তু, আরও বড় আন্দোলনের ডাক দিলেন সরকারি কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘আজ রাজ্য বাজেটে মে মাস থেকে মাত্র ৪ শতাংশ বাড়তি DA-র কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্র সহ একাধিক রাজ্য ৪৬ শতাংশ ডিএ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে সেখানে এই রাজ্য মে মাস থেকে মোট ১৪ শতাংশ মাত্র ডিএ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বছরে ১ জানুয়ারি থেকে আনুমানিক ৫ শতাংশ বাড়তি ডিএ দেবার ঘোষণা শীঘ্রই করবে। ফলে ডিএ র ব্যাবধান ৩৬ শতাংশের বেশি থেকেই যাবে।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘ আমরা মনে করি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যের শিক্ষক, কর্মচারি, পেনশনারদের এই ৪ শতাংশ বাড়তি DA দেওয়ার ঘোষণা আসলে ভিক্ষা দেওয়া হল। আমরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছি।’
বিষয়টি নিয়ে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পক্ষ থেকে শ্যামল মিত্র বলেন, ‘AICPI মেনে কেন্দ্র এবং অন্যান্য রাজ্যের কর্মীরা আরও ৪ শতাংশ DA পেয়ে যাবেন। এবার মে থেকে বাংলায় আরও ৪ শতাংশ DA-র কথা বলছে। আবার জুলাই মাসে সেই বকেয়া থেকে যাবে। আমরা তো প্রাপ্য DA চাইছি। এটাকে ভিক্ষের অতিরিক্ত কিছু বলে আমরা মনে করছি না।’
অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ভাস্কর ঘোষও এই সিদ্ধান্তের পালটা সরব হয়েছেন। ভিক্ষে দেওয়ার মতো করে রাজ্য DA ঘোষণা করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে দেবপ্রসাদ হালদারের কথায়, ‘এটা তো বারবার ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতটা ইচ্ছে হচ্ছে ততটাই দিচ্ছে।’