এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বুধবার তার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধ্যক্ষ। বিমান এ দিন বলেন, ‘রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বাজেট অধিবেশন হওয়ার মধ্যে সংবিধান বহির্ভূত কোনও বিষয় নেই। এটা বেআইনি নয়, রীতি বহির্ভূত-ও নয়। ১৯৬২ সালে সংসদে এই ঘটনা ঘটেছিল। এই বাজেট অধিবেশন শীতকালীন অধিবেশনের ধারাবাহিকতা। এটা বছরের প্রথম অধিবেশন নয়।’
বিমানের এই যুক্তি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি প্রশ্ন করেন, ‘১৯৬২ সালে চিন ভারত আক্রমণ করেছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তখন সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মুলতুবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু দেশে এখন তেমন কোনও পরিস্থিতি নেই। তা হলে কেন রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বাজেট অধিবেশন শুরু হবে?’ বিমান পাল্টা বলেন, ‘২০০৪ সালেও সংসদে একই ভাবে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল। তখন কিন্তু দেশে কোনও বিশেষ পরিস্থিতি ছিল না।’
সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ বাদ দিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও এই নিয়ে রাজভবন এখনও কোনও আপত্তি তোলেনি। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্কে এই ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূলের একজন বিধায়ক এবং বিজেপির দুই বিধায়কের প্রশ্ন করার সূচি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিমান। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী প্রস্তুত হয়ে আসবেন অথচ প্রশ্নকর্তা আসবেন না, এটা চলতে পারে না। এই রকম আচরণ করলে এঁদের প্রশ্ন নেওয়া হবে না।’