মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে ৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল। এরা সকলেই গোপালপুর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে একজনের মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান মিলেছিল। পুলিশ সেই সূত্র ধরে তদন্তে নেমে জীবনের কাছে পৌঁছয়। মোবাইলে ‘এমপি ২০২৪ কোশ্চেন আউট’ নামে ওই গ্রুপের বেশ কয়েকজন অ্যাডমিনের মধ্যে জীবন দাস একজন।
জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে, সে দিন বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে ওই গ্রুপে প্রশ্নপত্র ও উত্তর আপলোড করা হয়েছে। তাতে জীবনও অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। পরীক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের আর যারা ওই গ্রুপে ছিলেন, তাঁদের সনাক্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারেও মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে মালদা জেলা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসা, নকল করতে গিয়ে হলে মোবাইল, স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটছে। প্রায় ২৫ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় মালদায় বসে বলেছেন, ‘পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়লেও বাইরে থেকে এই চক্রটা কাজ করছে।’ মানিকচক থেকে গৃহশিক্ষকের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা পর্ষদ সভাপতির দাবিতেই সিলমোহর দিল।