Qr Code,কোন মাটি কেমন? বলে দেবে কিউআর কোড – qr code tell soil quality discovery jhargram seva bharati college students


অরূপকুমার পাল, ঝাড়গ্রামকোন মাটির কী গুণাগুণ, কোন মাটিতে কী ফসল ভালো হবে- মোবাইলে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই, জানা যাবে সব। এ সব তথ্য জানতে আর চিন্তায় পড়তে হবে না কৃষকদের। এআই ব্যবহার করে এমনই এক কৃষক-উপযোগী কিউআর কোড বানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের সেবাভারতী কলেজের ভূগোল বিভাগের পড়ুয়ারা।

কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন, ‘প্রথমে ঝাড়গ্রাম জেলার আটটি ব্লকের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণাগারে সেগুলি বিশ্লেষণ করে মাটির গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা হয়েছে। এখানে মাটির প্রকারভেদ, পিএইচ ব্যালান্স, ফসফরাস, পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, মাটির কণার আকৃতি এবং কোন ফসলের জন্য কোন মাটি বেশি ভালো, সে সমস্ত তথ্যভাণ্ডার গঠন করা হয়েছে। তারপর এআই-এর মাধ্যমে আটটি ব্লকের জন্য আটটি আলাদা কিউআর কোড তৈরি করা হয়েছে।’

এই কিউআর কোড ব্যবহার করলে কৃষকরা মাটির চরিত্র সম্পর্কে সব রকম তথ্য পেয়ে যাবেন। যা কাজে আসবে চাষবাসে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম জেলায় ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলায় সেবাভারতী কলেজের ভূগোল বিভাগের তৈরি এই মডেল প্রথম স্থানও দখল করে। কলেজের ভূগোল বিভাগের রুমা শীল, সাহিল মাইতি, অমরনাথ মাণ্ডি, স্বয়মপ্রসাদ মাহাতো, দীপশিখা করণ, স্নেহা ওয়াদ্দার, পায়েল দণ্ডপাটদের এই মডেল তৈরিতে গাইড করেছেন ভূগোল বিভাগের অধ্যাপকেরা।

রুমা, অমরনাথ, স্নেহারা বলছেন, ‘এআই যেহেতু নতুন একটি বিষয়, তা দিয়ে কীভাবে কৃষিকাজের উন্নতি করা যায়, তার সন্ধান চালাতে গিয়ে আমরা এ ধরনের বিষয়টি বেছে নিয়েছিলাম। কলেজের স্যরদের তত্ত্বাবধানে আমরা মডেলটি সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।’

ভূগোল বিভাগের প্রধান বলেন, ‘জেলার আটটি ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি মাটির চরিত্র জানার কিউআর কোডের বোর্ড লাগানো যায়, তাহলে মোবাইল ফোনে অতি সহজেই কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্লকের মাটির চরিত্র জানা যাবে। মূলত সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে।’

কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু বলেন, ‘জেলার মধ্যে মডেলটি ফার্স্ট হওয়ায় ৮-৯ ফেব্রুয়ারি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রাজ্যস্তরীয় ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলায় আমাদের কলেজের পডুয়া এবং অধ্যাপকরা মডেলটি প্রদর্শন করছেন। প্রত্যন্ত এলাকার কলেজ হয়েও সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে আমরা সব সময় নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা করি। কৃষিক্ষেত্রে এর প্রয়োগ হলে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *