Alipurduar News : আলিপুরদুয়ারে চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু? মুখ খুলল জেলা প্রশাসন – alipurduar tea garden worker expired for starvation allagation rejected by district administration


চা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল। গত ২ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ারের কালিচিনি ব্লকের মধু চা বাগানে এক শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির নাম ধানী ওঁরাও (৫৮)। ওই ব্যক্তির অনাহারে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি চা মজদুর সমিতির। যদিও, ওই ব্যক্তির অনাহারে মৃত্যু হয়নি বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। জেলাশাসক জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা জানান, যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়। ধানী ওঁরাও ভাইয়ের পাকা বাড়ি আছে। সেখানেই তাঁরা থাকতেন। সম্প্রতি দু’জনে অসুস্থ হওয়ার কারণে পাশে একটি ছাউনির তলায় তাঁদের স্থানান্তরিত করেছে ধানী ওঁরাওয়ের ভাই। ধানী ওঁরাওয়ের স্ত্রীর বর্তমানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সমিতির অভিযোগ, ধানী ওঁরাও (৫৮) নামে ওই শ্রমিকের অপুষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে। মধু চা বাগানে একটি মাটির ঘরে ত্রিপলের ছাউনিতে থাকতেন ধানী ওঁরাও ও তাঁর স্ত্রী। শ্রমিকের মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতির একটি দল বাগানে যায়। সেই সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বাগান ঘুরে দেখে ও শ্রমিকের মৃত্যুর পেছনে কারণগুলি খুঁজে বের করে। তাতেই সংগঠনের কর্তাদের দাবি, অপুষ্টিতে ভুগেই মৃত্যু হয়েছে ধানী ওঁরাও এর।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য আইনজীবী পূর্বায়ন চক্রবর্তী জানান, ধানী ওঁরাও ও তাঁর স্ত্রী খাবার জোগাড় করতে পারতেন না। সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলি থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। ধানী ওঁরাও মারা যাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যও ছিল না। আশপাশের কয়েকজন মাটি চাপা দেন দেহ। এরপর আমরা জানার পর বাগানে যাই। ধানী ওঁরাও স্ত্রীয়ের ওজন মাত্র ২৬ কেজি। তাঁকে প্রশাসনের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে ধানী ওঁরাও এর আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিকরণ না থাকায় রেশন পেতেন না বলেও অভিযোগ। বাগান থেকে মাঝেমধ্যে টাকা পেতেন। চা মজুর সমিতির তরফে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হয়। ধানী ওঁরাও এর স্ত্রী যাতে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন তা নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। জেলাশাসকের কাছেও একটি দাবিপত্র পাঠানো হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *