স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, এখানে হল্ট স্টেশন থাকলেও কোনও ট্রেন থামে না। সেই কারণেই শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে রেল অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। দূরপাল্লার ট্রেন আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। যে কারণে দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে থাকে হলদিবাড়ি থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী লোকাল ট্রেন। বিক্ষোভের খবর পেয়েই ছুটে আসেন রেলের আধিকারিকরা।
রেলের তরফে বিক্ষোভ তোলার আর্জি জানিয়ে মাইকে প্রচার করা হয়। একাধিকবার আবেদন করা হলেও ওঠেনি বিক্ষোভ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হলদিবাড়ি স্টেশনে আটকে রয়েছে কলকাতাগামী একাধিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। রেল অবরোধের জেরে আটকে বাংলাদেশ নিউ জলপাইগুড়ি মিতালি এক্সপ্রেস। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরে কাটোয়া ব্যান্ডেল লোকাল, চরম ভোগান্তি শিকার হতে হয় ট্রেনের যাত্রীদের। শেষে রাতের অন্ধকারে লাইনের উপর দিয়ে প্রায় ৫০০মিটার হেঁটে কালনা স্টেশনে পৌঁছাতে হলো যাত্রীদের। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ব্যান্ডেল শাখার লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকার ব্রেক বিকল হয়ে যায়, তাতেই আটকে যায় ট্রেন। এই ব্রেক বিভ্রাটের জেরে মাঝ রাস্তায় আটকে যায় ট্রেন।
রাত প্রায় ৯:২৫মিনিট নাগাদ এই ঘটনা টি ঘটেছে। নবদ্বীপ থেকে আসছে রেলের টেকনিশিয়ানরা। তারা এলেই ঠিক করে যেতে পারে ব্রেকিং স্টিটেম জানালো রেল। এর জেরে কাটোয়া-ব্যান্ডাল শাখায় সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দীর্ঘ সময় ধরে। এরজেরে রাতে চরম দূর্ভোগে পরে ট্রেনের যাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত ঘটনার ১ঘন্টা ৩০মিনিট পর থেকেই আপ লাইনে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। রাত ১১টা পর্যন্ত ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে।