পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন পিংলা ব্লকের বিডিও সুকান্তকুমার গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি।’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুষ্পেন্দু প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার করে টেন্ডার ডেকে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তার আগে বনদপ্তরের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। ৩৫২টি গাছ ৭ লক্ষ টাকায় টেন্ডার করা হয়েছে। আমার নামে বদনাম করার জন্য কিছু কাঠ ব্যবসায়ী এবং বিজেপি নেতারা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।’
গাছ বিক্রির ব্যাপারে বন বিভাগের বালিচক রেঞ্জের অফিসার অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জানা গিয়েছে, পিংলা ব্লকের ৩ নম্বর ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালিয়া এলাকায় প্রায় এক দশক আগে আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, নিম ও তেঁতুল গাছ লাগিয়েছিলেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এলাকার উন্নয়নে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় নিজস্ব তহবিল গঠন করতে ওই গাছগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
তাঁর দাবি, ২৫ জানুয়ারি টেন্ডার করে ৩৫২টি গাছ ৭ লক্ষ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘ওই গাছ অন্তত ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হতো। কাটমানি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মাত্র ৭ লক্ষ টাকায় তা বিক্রি করে দিয়েছেন।’ বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাঁরা। বেআইনি ভাবে গাছ বিক্রির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বছর খানেক আগে এই জেলার গড়বেতা ৩ ব্লকের কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ বিক্রির খবর জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ খতিয়ে দেখে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। গাছ কাটা ও বিক্রি করা নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয় প্রশাসনিক স্তরে। তারপরেই কড়াসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়।