গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জেলিয়াখালীতে সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করে তাতে পোল্ট্রি ফার্ম করেছিল তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা। বুধবারের পর ফের শুক্রবার সকাল থেকে সেই সব জমি দখলের নামল গ্রামবাসীরা। হাজরা পোল্ট্রি ফার্ম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে জমির দখল নিচ্ছে গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের জমি দখল করে পোল্ট্রি ফার্ম ও মেছো ভেড়ি তৈরি করেছিল শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দাররা। এরা প্রত্যেকেই শেখ শাহজাহানের অনুগামী। সামন্ত প্রভুদের কায়দায় শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারদের ভয়ে নিজেদের জমিতেই পোল্ট্রি ফার্মে বেগার খাটতে হতো জমির মালিকদের। মজুরি চাইলেই জুটতো প্রহার, জন খাটা স্বামীদের মেরে কোমর ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন গ্রামের মহিলারা।
অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে পুলিশের তৎপরতা সকাল থেকেই। এমন তৎপরতা আগে লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশ প্রশাসন গত একমাসের বেশি সময় ধরে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহাজাহান শেখকে খুঁজে বের করতে পারেনি। গতকাল গ্রাম জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হওয়ার পর আজ সকাল থেকে ছবিটা অন্যরকম। এলাকায় বহিরাগত প্রবেশ করলেই পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, কেন এত তৎপরতা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সন্দেশখালির আন্দোলন শুক্রবার তৃতীয় দিনে পড়ল। তার আগে থেকেই গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্বেষ জমছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে। সেই বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার থেকে। যা এখনও পর্যন্ত বজায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সকাল থেকে থমথমে বসিরহাটের সন্দেশখালি এলাকা। এখনও পর্যন্ত থানা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে । রাতে আন্দোলন বিক্ষোভের রেষ কিছুটা স্থিতিশিল হলেও দিনের আলো ফুটতেই সকাল থেকে ফের একে একে আদিবাসীরা জড়ো হচ্ছেন আন্দোলন করার জন্য। শয়ে শয়ে মহিলারা লাঠি ঝাঁটা হাতে নিয়ে সন্দেশখালি থানার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন যতক্ষণ পর্যন্ত সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ও জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সরদার কে গ্রেফতার না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।