Tapan: ফের চালু হোক কিষান মান্ডি, স্থানীয়দের দাবি তপনে


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৪ সালে গোটা জেলার সঙ্গে তপনে উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত কিষাণ মান্ডি ও পথসাথী তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। লক্ষ্য ছিল স্থানীয় কৃষকদের জন্য স্থায়ী বাজার দেওয়া। অন্যদিকে পথসাথীর মাধ্যমে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

তপন করদহ রোডের পাশে হাসপাতালের সামনে পথসাথী এখন দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভুতুড়ে বাড়ি। আধুনিক পরিকাঠাম যুক্ত, সুসজ্জিত, একসময় জনকোলাহলে মুখরিত পথসাথী এখন আগাছায় ঢেকেছে।

অন্যদিকে কিষাণ মান্ডি খাতায়-কলমে ২০১৪ সালে উদ্বোধন হলেও ২০১৭ সাল থেকে সেখানে ধান কেনা-বেচা শুরু করে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া আর অন্য কোনও কাজে ব্যবহার হয় না। অথচ তপন সদরে একটি সাপ্তাহিক হাট চলে। এছাড়াও একটি নিত্য বাজার চলে নিয়মিত।

আরও পড়ুন: Passion Fruit in Malda: অবাককান্ড হলেও সত্যি, অস্ট্রেলিয়ার ফল ফলছে মালদায়

স্থানীয়দের দাবি, ২০১৭ সালে তপন কিষান মান্ডিতে তপন বাজার ও সাপ্তাহিক হাটকে তুলে নিয়ে এসে কিষাণ মান্ডি চালু করা হয় এবং খুব সাফল্যের সঙ্গে সেই সাপ্তাহিক হাট ও নৈমিত্তিক বাজার চলেছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু এরপরেই ছন্দপতন ঘটে। করোনার সময় ২০২০ সালে এই কিষাণ মান্ডি ও পথসাথীকে ব্যবহার করা হয় করোনা আক্রান্ত রোগী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার কাজে। দীর্ঘ সময় করানা রোগীর চিকিৎসাও চলেছে পথসাথিতে। এরপর নতুন করে আর পথসাথী বা কৃষাণ মান্ডিতে বাজার চালু করা উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এখন অবশ্য কিষান মান্ডিতে ধান কেনাবেচা চলছে কিন্তু তাও বছরে কয়েক মাস। তারপর মান্ডি বন্ধ থাকে। অথচ এই কিষাণ মান্ডিতেই সাপ্তাহিক হাট বসিয়ে একসময় এর হাল ফিরেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন যদি নতুন করে আবার সাপ্তাহিক হাট কিসান মান্ডিতে নিয়ে আসা যায় তাহলে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। এলাকার মানুষেরও আর্থিক উন্নয়ন হবে।

আরও পড়ুন: Sandeshkhali Violence: ফুঁসছে সন্দেশখালি! শিবুর বাড়ির সামনে চড়াও জনতা, ৩ পোলট্রিফার্মে আগুন

অন্যদিকে তপন হাসপাতালে ঠিক উল্টো দিকে তপন করদহ রোডের সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে। ২০২০ সালে করোনার রোগীদের এই পথসাথীতে রাখা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে পথসাথী। যার ফলে উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত পথসাথীকে এখন ভুতুড়ে বাড়ি বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসীন্দারা দাবি করছেন পথসাথীকে আবার তার পুরাতন চেহারা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। চালু করা হোক কিষাণ মান্ডি ও পথসাথী।

এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানিয়েছেন সরকারি নির্দেশ মতোই পথসাথী ও কিষাণ মান্ডি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কিষাণ মান্ডি ও পথসাথী চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এবং দ্রুত তা কার্যকরী হবে বলেই জানিয়েছেন জেলা শাসক।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *