শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান দেব। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে দুজনের বৈঠক। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি দাঁড়াবেন কিনা, রাজনীতি থেকে কি সন্ন্যাস নেবেন নাকি ফের ঘাটালে তিনি লড়বেন, এই বিষয় নিয়েই দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, এবার আর লোকসভা নির্বাচনে লড়তে রাজি নন দেব। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নিয়ে কালীঘাটে সাংগঠনিক বৈঠকেও সেই কথা জানিয়েছিলেন দেব।
তবে এরপর গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে দেব-এর রাজনীতি থেকে সরে আসা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করে। লোকসভা ভাষণের আগে তাঁর ফেসবুক পোস্ট নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। তবে তাঁর রাজনীতি ছাড়ার মাঝেই কাটমানি নিয়ে উঠে আসে একের পর এক খবর। এর মাঝেও ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের ( সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, সংসদ ফান্ড থেকে কাজ করার সময় ৩০ শতাংশ কাটমানি নেওয়া হতো।
যদিও, এই খবর প্রকাশের পর দেব নিজে জানিয়েছিলেন, ওঁর হাত ধরে আমি রাজনীতি শিখেছি। উনি তো আমার রাজনীতির গুরু। পালটা গতকালই দেবের বিষয় নিয়ে পাল্টি খেয়েছেন শঙ্কর। দেবের কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে তিনি দেশের সাংসদ হিসেবে গর্ব বলেও জানান শঙ্কর।
প্রসঙ্গত, গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সরকারি পদ থেকে দেব ইস্তফা দেওয়ার পরেই জল্পনা বাড়তে থাকে। এবার কি তিনি সাংসদ পদও ছাড়তে চলেছেন? এমনই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। যদিও দেবকে নিয়ে দলের তরফে এখনও কোনও সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। দেব দলের গুরুত্বপূর্ণ সংসদ এবং তাঁর ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন বলে জানিয়ে দেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।