শনিবার নতুন করে আবার বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সন্দেশখালি থানার সিতুলিয়া গ্রামে ভুজঙ্গ দাসের বাড়ি গতকাল গভীর রাতে পুলিশ এবং দুষ্কৃতীরা একজোট হয়ে এসে ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ভুজঙ্গ দাসের মাকে মারধর করে, বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করে ওই পরিবারের লোকজন । ঘরের ভিতর তছনছ করে দেওয়া হয়। আর এরই প্রতিবাদে আজ আবার বিক্ষোভ শুরু করল সিতুলিয়া গ্রামের মহিলারা।
এদিন রাজভবনে গিয়ে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান তোলেন, ‘সন্দেশখালি জ্বলছে কেন জবাব দাও রাজ্যপাল।’ রাজ্যপালকে এই ঘটনায় তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্যপাল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা না নিলে পরের দিন থেকেই রাজভবনের সামনে ধরনা কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
সন্দেশখালি এলাকায় দফায় দফায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবু প্রসাদ হাজার, উত্তম সর্দারের গ্রেফতারের দাবি সন্দেশখালি থানায় প্রতিবাদ শুরু করেন গ্রামের মহিলারা।
অন্যদিকে, গতকাল রাত থেকে সন্দেশখালি এলাকায় নতুন করে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাতেও বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসা হচ্ছে সন্দেশখালি থানায়। ধামাখালি নদী পার হয়ে যাচ্ছে প্রচুর বাহিনী সন্দেশখালি থানাতে নিউ আসা হয়। যে পরিস্থিতি গত দুদিন ধরে চলেছে,তার পুনরাবৃত্তি চায় না জেলা পুলিশ প্রশাসন। সেই কারণে শুক্রবার রাতে দফায় দফায় পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সন্দেশখালি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।