তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠান থেকে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এই সাসপেনশন করার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, উত্তর সর্দারের বিরুদ্ধে লাগাতার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। জন সাধারণের বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর নানা অভিযোগ রয়েছে উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে। তাঁকে আগামী ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের দলীয় রিপোর্টে যেটা এসেছে, সেই কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এখনও সেরকম কোনও অভিযোগ নেই।’
উত্তর সর্দার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য এবং স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। যদিও, উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করার ঘোষণা করা হলেও আরেক অভিযুক্ত শিবু প্রসাদ হাজরা এবং সর্বোপরি শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস।
এই ঘটনায় একটি সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য প্রতিক্রিয়ায় জানান, একে শাস্তি দেওয়ার তৃণমূল কে? সে তো একটা অপরাধী। উত্তম সর্দার এলাকায় মানুষের উপর অত্যাচার করেছে, মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি, মহিলাদের কাজের টাকা দেওয়া হয়নি, মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করা হয়েছে। তাঁকে তো গ্রেফতার করা উচিত। দল ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে কি আসে যায়? পুলিশ কি করবে, সেটাই দেখার।
যতক্ষণ পর্যন্ত সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ও জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার না করছে। ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, শেখ শাজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করার বদলে পুলিশ তাদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? কোথায় আছে সেই বেতাজ বাদশ কেনই বা পুলিশের নজরে আসছে শাহাজাহ তা নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছে ইতিমধ্যেই। শনিবার সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভের প্রভাব ছিল।