কিন্তু, সেই যাবতীয় জল্পনার ছিটেফোঁটা প্রভাবও ফলাফলে পড়েনি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি সেই হাতছাড়া মুহূর্তে ‘ত্রাতা’ ছিলেন প্রশান্ত কিশোর? এবার ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোনও হারা ম্যাচ ভোট কুশলীদের ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে বলে অন্তত অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে নির্বাচনে মানুষ ঠিক করে কাকে ভোট দেবে কাকে দেবে না। ২০২১ সালের আগে একটা হাওয়া তোলা হয়েছিল যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে না। বিজেপি ২০০ থেকে ২৫০ আসন পেতে চলেছে। আর মন্ত্রিসভা প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। যখন ফল বার হল তখব কী দেখলাম ৭০-এর গণ্ডিতে আটকে ওরা। পুরো বিষয়টি স্ট্রিমলাইন করতে প্রশান্ত কিশোররা সাহায্য করেন। কিন্তু, হারা ম্যাচ ঘোরানোর ক্ষমতা মানুষ ছাড়া কারও নেই।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ম্যাচটা তৃণমূলের হারা ম্যাচ ছিল বলে মনে করি না। প্রতিটা নির্বাচন কঠিন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনও কঠিন ছিল। নির্বাচনের এক মাস আগে নারদা ক্লিপ বেরিয়েছিল। আগামী ২৪ এবং ২৬-এরও কঠিন হবে। তবে কেউ ভালো কাজ করে এবং কথা দিয়ে কথা রাখে সেক্ষেত্রে মানুষ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়। তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রেখেছে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি মন্তব্য শেয়ার করা হয়। যেখানে জানানো হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তৃণমূলে দুটি দল নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পদ্ধতিগত মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু, তা কোনওভাবেই ব্যক্তিগত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ে। এবার সেই যাবতীয় জল্পনাতে জল ঢাললেন তিনি।
নবীন-প্রবীণ নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে। তা নিয়ে দলে আলাদা করে কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেই জানান তিনি।